পশ্চিমা মানেই খারাপ নয়। তারা এশিয়া ও আফ্রিকার বাজারে ব্যাপকহারে পণ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে না। তাই পশ্চিমাদের সবসময় নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা বন্ধ করা উচিত। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মুখ থেকে শোনা গেছে এসব কথা।
মালায়ালাম সংবাদ চ্যানেল এশিয়ানেটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি পশ্চিমাদের হয়ে ওকালতি করছেন না। কেবল বাস্তব পরিস্থিতিটাই তুলে ধরছেন।
জয়শঙ্কর বলেন, এশিয়া-আফ্রিকায় পশ্চিমারা পণ্যের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে না। আমি মনে করি, পশ্চিমা মানেই খারাপ এবং তার উল্টো দিকে রয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলো, আমাদের এই ‘সিনড্রোম’ কাটিয়ে উঠতে হবে।
ভারতের শীর্ষ কূটনীতিকের মতে, বর্তমান বিশ্ব আরও জটিল। এখনকার সমস্যাগুলো আগের চেয়ে বেশি কঠিন।
সম্প্রতি ভারতের সভাপতিত্বে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেননি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ভারতকে উন্নয়নশীল বিশ্বের নেতা হিসেবে না দেখাতেই তার এই সিদ্ধান্ত কি না, সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল জয়শঙ্করের কাছে। জবাবে ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৫-২০ বছরে বৈষম্যপূর্ণ বিশ্বায়নের হাত ধরে বাজারে সস্তা পণ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে চাপের মুখে পড়েছে বিভিন্ন দেশের নিজস্ব পণ্য, উৎপাদন ও কর্মসংস্থান।
স্পষ্টতই এই কথার মাধ্যমে চীনের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক নীতির দিকে ইঙ্গিত করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জয়শঙ্কর বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে ওই দেশগুলোর অন্তর্নিহিত অসন্তোষ ও বেদনা ১৫-২০ বছর ধরে তৈরি হচ্ছে। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারি, ইউক্রেন সংঘাতের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়েছে।
‘সুতরাং অন্য কোনো দেশের অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য নিজেদের নিষ্কাশিত করা নিয়ে দেশগুলোর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আর তার জন্য পশ্চিমাদের দোষ দেওয়া উচিত নয়।’
এসময় ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, তিনি পশ্চিমাদের পক্ষে ওকালতি করছেন না। তার মতে, বর্তমান বিশ্বায়নে উৎপাদনের কেন্দ্রীকরণ ঘটেছে, যা বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে।