ভারতের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন চার বছর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নোট বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন- তার উদ্দেশ্যই ছিল মোদির কাছের পুঁজিপতিদের সহায়তা করা। ওই সিদ্ধান্তের ফলে লাভের বদলে ক্ষতিই হয়েছে ভারতের। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
চার বছর আগে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরই দশ মিনিটের ভাষণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী আচমককাই ঘোষণা দিয়ে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই নোট বাতিলের চার বছর পূর্তির দিনে কেন্দ্রকে তোপ দেগে রবিবার রাহুল এক ভিডিও বার্তা দেন। ‘স্পিক আপ এগেইন্সট ডিমো ডিজাসটার’ শীর্ষক একটি প্ল্যাটফর্ম’এ প্রতিবেশি বাংলাদেশের অর্থনীতি কিভাবে ভারতের অর্থনীতিকে ছাপিয়ে যায় সেপ্রশ্নও তোলেন।
রাহুল বলেন ‘কেন্দ্রীয় সরকার বলছে কোভিডের কারণেই অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে কিন্তু যদি তাই হয়, তবে বাংলাদেশেও তো কোভিড রয়েছে এবং বিশ্বের সবজায়গায়তেই এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তাই কোভিড নয়, এর আসল কারণ হল নোট বাতিল এবং ‘গুডস সার্ভিসেস ট্যাক্স’ (জিএসটি)।’
তিনি আরও জানান ‘চার বছর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় অর্থনীতির ওপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন। তিনি কৃষক, শ্রমিক, ছোট দোকানদারদের আঘাত করেছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন ভারতীয় অর্থনীতি দুই শতাংশ হ্রাস পাবে, পরে আমরাও সেটা দেখলাম।’
কেরালার ওয়ানেড় কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ আরও জানান ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন নোট বাতিল হল ‘কালো রুপি’র বিরুদ্ধে লড়াই কিন্তু আমি বলবো সেটা কোনদিনই হয়নি। ওটা ছিল মিথ্যা। আঘাতটা আপনাদের (দেশবাসী) ওপরেই এসেছে। মোদি চেয়েছিলেন আপনাদের রুপি নিয়ে সেটা তাঁর কাছের দুই-তিন জন শিল্পপতি বন্ধুর হাতে তুলে দিতে। আপনারাই (দেশবাসী) ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, মোদির শিল্পপতি বন্ধুরা নয়। আপনারা (দেশবাসী) ব্যাংকে রুপি জমাচ্ছেন আর প্রধানমন্ত্রী সেই রুপি তাঁর বন্ধুদের হাতে তুলে দিয়েছেন এবং ৩,৫০,০০০ কোটি রুপির লোন মওকুফ করে দিয়েছেন।’
মোদি একটি ত্রুটিপূর্ণ ‘পণ্য পরিষেবা কর’ বা জিএসটি চালু করেছেন বলেও অভিযোগ রাহুলের এবং এর ফলে ক্ষুদ্র, মাঝারি মানের ব্যবসা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে।
রাহুলের অভিমত গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে ভারতের যে গর্ব ছিল সেটা মোদিজি ধ্বংস করে দিয়েছেন। ভারতকে নতুন ভাবে গড়ে তুলতে কংগ্রেসকেই এগিয়ে আসতে হবে বলেও অভিমত তার।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন