রবিবার নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী রইল কলকাতা। হুইল চেয়ারে করে নন্দীগ্রাম দিবসের মিছিলে নেতৃত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজপথে আহত পা নিয়ে হুইল চেয়ারে চেপে মিছিল করে তিনি প্রমাণ করলেন প্রতিবাদ, প্রত্যয়, জেদের আর এক নাম মমতা।
কলকাতার ময়দানে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে থেকে হাজরা মোড় অব্দি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা হুইলচেয়ারে অতিক্রম করে মমতা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আর হুঁশিয়ারি ছুড়ে দেন বিজিপিকে।
“মনে রাখবেন, নিহত বাঘের চাইতে আহত বাঘ অনেক ভয়ঙ্কর” বলেন মমতা।
তিনি আরো বলেন, “আমি হুইলচেয়ারে, ভাঙা পায়ে সারা বাংলা জুড়ে বেড়াবো, আর খেলা হবে।”
নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর রবিবারই মমতা প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিলেন। কাল আবার পুরুলিয়ায় অনুষ্ঠান আছে। তার আগে নিজের বাসা থেকে অল্প দূরে হাজরার মোড়ে দাঁড়িয়ে মমতা বুঝিয়ে দিলেন, তিনি বিজেপিকে খোলা ময়দানে ছেড়ে দেবেন না।
“অনেকে জানতে চেয়েছেন দিদি আপনার যন্ত্রণা কেমন আছে? আমি বলি আমি বেড রেস্ট নিলে বাংলার মানুষের কাছে দাঁড়াবে কে? আমি বলি আমার শাররীক যন্ত্রনা থেকে হৃদয়ের যন্ত্রণা অনেক বড়। আপনাদের বলি, গণতন্ত্রকে যন্ত্রণা স্বৈরাচারীদের হাত থেকে উদ্ধার করার কাজ করতে হবে। আমার ওপর ভরসা রাখুন” বলেন তিনি।
এদিন মমতাকে দেখে তৃণমূল কর্মী, সমর্থক, নেতারা যেন আবার ভরসা ফিরে পান। মমতাকে দেখে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে সবার চোখ, মুখ। গাড়ি থেকে নেমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুইল চেয়ার চেপে মঞ্চের দিকে চলে যান। মমতা যখন হুইলচেয়ারে করে মঞ্চের দিকে এগোচ্ছেন, তখন মেয়ো রোড “বাংলা নিজের মেয়েকে চায়” স্লোগানে মুখরিত হচ্ছিল। তৃণমূল নেত্রী গান্ধী মূর্তিতেও পুষ্পার্ঘ দেন।