তালেবানের সদ্য ঘোষিত মন্ত্রিসভায় কোনো নারীকে পদ না দেওয়ার প্রতিবাদে আফগানিস্তানে চলছে বিক্ষোভ। এরই মধ্যে তালেবানের একজন মুখপাত্র সায়েদ জেকরুল্লাহ হাশিমি মন্তব্য করেছেন, নারীরা মন্ত্রী হতে পারবে না। তাদের উচিত সন্তান জন্ম দেওয়া।
জেকরুল্লাহ হাশিমি স্থানীয় টোলো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন বলে শুক্রবার একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নারীরা মন্ত্রী হতে পারবে না। বিষয়টি তার ঘাড়ে এমন ভার চাপিয়ে দেওয়ার মতো ব্যাপার যা সে বহন করতে পারে না। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়াটা নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যাপার নয়। তাদের উচিত সন্তান জন্ম দেওয়া। যেসব নারীরা বিক্ষোভ করছেন তারা সমগ্র আফগান নারীদের প্রতিনিধিত্ব করেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নারীরা সমাজের অর্ধেক অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন সাংবাদিকের এই মন্তব্যে তিনি বলেন, আমরা তাদের সমাজের অর্ধেক বলে মনে করি না। তারা কি রকম অর্ধেক। অর্ধেক বিষয়টিকেই এখানে ভুলভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। এখানে অর্ধেক বলতে তারা কেবল মন্ত্রিসভায় পদ পাওয়াকে বোঝাচ্ছে, অন্য কিছু নয়। যদি তাদের অধিকার খর্ব করা হয়, সেটাই কোনো ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হবে না। গত ২০ বছর ধরে মিডিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগানিস্তানে মার্কিনিদের পুতুল সরকার যা বলেছিল, তা অফিসে পতিতাবৃত্তি ছাড়া আর কিছু নয়।
অফিসে পতিতাবৃত্তির প্রসঙ্গে সাংবাদিক বলেন, আপনি সব নারীই এমন তা বলতে পারেন না।
উত্তরে হাশিমি বলেন, আমি এখানে সব আফগান নারীর কথা বলিনি। যারা আজ রাস্তায় বিক্ষোভ করছে তারা সব আফগান নারীকে প্রতিনিধিত্ব করে না। আফগান নারী হলেন তারাই যারা সন্তান জন্ম দিয়ে তাদের ইসলামী আদব কায়দা শিক্ষা দেন।
মঙ্গলবার তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু সেই মন্ত্রিসভায় পদ পাননি কোনো নারী। এর প্রতিবাদে কাবুলে চলছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দমনে তালেবান ফাঁকা গুলি, লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস এমনকি চাবুকও ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।