আরও বলা হয়েছে, স্ত্রী জীবিত আছেন এমন কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী সরকারের অনুমতি ছাড়া পুনরায় বিয়ে করতে পারবেন না। এমনকি, যে সম্প্রদায়ে একজন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়, তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
নীরাজ ভার্মা তার ওই নির্দেশে জানিয়েছেন, আসাম সিভিল সার্ভিস কন্ডাক্ট রুলস ১৯৬৫ অনুসারে যার একজন স্ত্রী রয়েছে, তিনি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না।
এদিকে, নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সরকারি কোনো নারী কর্মী এমন কাউকে বিয়ে করতে পারবেন না, যার অপর একজন স্ত্রী রয়েছে ও যিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেননি।
যদিও আসামের একাধিক আইনজীবীর দাবি, এটা নতুন কিছু নয়। এই নিয়ম আসামে আগে থেকেই ছিল। কারণ সরকারি কর্মীদের চাকরিতে যোগদান করার আগে এ সংক্রান্ত হলফনামা জমা দিতে হয়।
ধর্মেন্দ্র দেব নামে এক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়ে হিন্দুরা দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। আর অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ‘ব্যক্তিগত আইনের’ বিষয়। এ ধরনের বিয়ে আটকাতে গেলে রাজ্য সরকারকে ব্যক্তিগত আইন সংশোধন করতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে আসাম বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, বিয়ের আইনগত বিধান সবার জন্য। এই নিয়ম শুধু সরকারি কর্মীদের জন্য হতে পারে না। যদি হিন্দুদের মধ্যে দ্বিতীয় বিয়ে নিষিদ্ধ হয়, তবে এর অর্থ এটি সব হিন্দুর জন্য। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে বিয়ের জন্য প্রচলিত আইন থাকলে তা অনুসরণ করা হবে।