গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সিসোদিয়া। রবিবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। ৭-৮ মাস জেলে থাকার জন্য তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন। আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল আশ্বস্ত করেছিলেন, সিসোদিয়ার পরিবারের দেখভাল করবেন তারা।
এরপর আজ রবিবার তাকে আবারও তলব করা হয়। আর তার পরই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার করা হয় সিসোদিয়াকে।
আজ সিবিআই দপ্তরে যাওয়ার আগে টুইটারে সিসোদিয়া লিখেছিলেন, ‘তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করব। লাখ লাখ শিশু এবং দেশের কোটি কোটি মানুষের আশীর্বাদ আমার সঙ্গে রয়েছে। যদি কয়েক মাস জেলেও থাকতে হয়, তাতে কিছু যায় আসে না। আমি ভগৎ সিংহের অনুগামী। যিনি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। মিথ্যা অভিযোগে জেলে যাওয়া সেদিক থেকে খুবই সামান্য বিষয়।’
এদিকে কেজরীওয়ালের ডেপুটির গ্রেপ্তার নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেছে আম আদমি পার্টি। দলটি বলেছে, ‘এই গ্রেপ্তার প্রধানমন্ত্রীর একনায়কতন্ত্রের চরম নিদর্শন।’ যদিও এ নিয়ে আপকে পাল্টা দোষ দিয়েছে বিজেপি।
এর আগে সিসোদিয়ার লকারে তল্লাশি চালানোর পর কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে দিল্লি সরকারের সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। ‘প্রতিহিংসার রাজনীতির’ কারণেই এমনটা করা হয়েছে বলে সরব হয়েছিল আপ। সম্প্রতি দিল্লির মেয়র নির্বাচন ঘিরে আপ বনাম বিজেপি সংঘাতের ছবি প্রকাশ্যে আসে। তার পর পরই সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করায় এই সংঘাতের আঁচ আরো বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তারের পর পরই টুইটারে আপের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, ‘গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন। একটি ভুয়া মামলায় বিশ্বের সেরা শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে বিজেপির সিবিআই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এ ছাড়াও আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ মোদির বিরুদ্ধে সরাসরি টুইটারে লিখেছেন, ‘মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেপ্তারের একনায়কতন্ত্রের চরম নিদর্শন। এক জন ভাল মানুষকে গ্রেপ্তার করে ভাল করেননি। সেরা শিক্ষামন্ত্রী তিনি। ভগবানও আপনাকে ক্ষমা করবেন না। এক দিন আপনার এই একনায়কতন্ত্র শেষ হবে।’
আপ বিধায়ক অতিশি বলছেন, ‘আপের জনপ্রিয়তা যে ভাবে বাড়ছে, সে কারণেই ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই এই গ্রেতার। আপকে শেষ করতে চাইছে বিজেপি।’
আপ বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজের অভিযোগ, ‘সিবিআই পুরোপুরি কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে। আমরা জানতাম সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
আপের নেতাদের পাল্টা জবাব দিতে মুখ খুলেছেন বিজেপির মনজিন্দর সিংহ সিরসা। সিবিআইকে ‘অপব্যবহার’ করার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এনডিটিভিকে তিনি বলেছেন, ‘উনি শিক্ষাক্ষেত্রে কাজ করে থাকতে পারেন। তার মানে এই নয় যে, তিনি আবগারি দুর্নীতিতে যুক্ত নন।’