ভারতের রাজধানী দিল্লিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এই সংখ্যা গত বছরের মে মাসের পরে সর্বোচ্চ। শনিবার (১ জানুয়ারি) দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৭১৬ জন।
এছাড়াও মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ১৭০ জন নতুন সংক্রমিত হয়েছেন। এ সংখ্যা গতদিনের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। মহারাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯১ জনে। করোনায় এদিন মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪১ হাজার ৫৩৩ জনে।
একুশের শেষে এসে আবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ছয়টি নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ রেকর্ড হয়েছে পুনেতে। মুম্বাই ও পুনেতে সর্বাধিক সংখ্যক কোভিড সংক্রমণ দেখা গেছে এবারও। শেষপর্যন্ত তা রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানান উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার।
শুধুমাত্র মুম্বাইয়ে ৫ হাজার ৬৩১ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন। তা প্রায় গতদিনের তুলনায় ২ হাজার বেশি। শহরের মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৮৫ হাজার ১১০ হন। মুম্বাইয়ে ডিসেম্বরে ২২ হাজার ২২৯ হন শনাক্ত করা হয়েছিলেন, আর নভেম্বরে ৬ হাজার ৯৭১ জন। অর্থাৎ নভেম্বরের থেকে ডিসেম্বরে সংক্রমণ তিনগুণ বেশি।
এদিকে শনিবার ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৭৭৫ জন শনাক্ত ও ৪০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লিতে শনিবার করোনা সংক্রমণের হার গত মে মাসের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
শনিবারের বৃদ্ধি গত বছরের মের পর সর্বোচ্চ। ২১ মে ৪.৬৭ শতাংশ ছিল সংক্রমণের হার। ৩ হাজার ৯ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন সেদিন। ২৫২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শনিবার সংক্রমণের হার ছিল তারপর সর্বোচ্চ ৩.৬৪ শতাংশ। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭১৬ জন। শুক্রবার নববর্ষের প্রাক্কালে এক হাজার ৭৯৬ জন আক্রান্ত হন। ১.৭৩ শতাংশ ছিল সংক্রমণের হার। বৃহস্পতিবার ২.৪৪ শতাংশ ছিল সংক্রমণের হার। ওইদিন এক হাজার ৩১৩ জনের সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছিল।
দিল্লিতে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা স্পাইক রেকর্ড করা হচ্ছে শহরে করোনার নতুন ওমিক্রন রূপ হানা দেওয়ার পর। শহরে করোনায় ২৫ হাজার ১০৮ জন মারা গেছেন। অথচ বিগত তিনদিন অর্থাৎ বুধ, মঙ্গল ও সোমবার সংক্রমণ ছিল যথাক্রমে ৯২৩, ৪৯৬ ও ৩৩১।
করোনা সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্তে ‘হলুদ সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। দিল্লিতে ইতোমধ্যেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। স্কুল, জিম বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি সরকার। অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরার বার্তা দিয়েছেন। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন শনিবার বলেছেন, জাতীয় রাজধানীতে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দরকার।