তিউনিসিয়া উপকূলে ১৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। মেডেনাইন শহরের একজন পাবলিক প্রসিকিউটর বুধবার এএফপিকে বলেন, তিউনিসিয়ার দক্ষিণের জেরবা দ্বীপের উপকূলে গত কয়েকদিন ১৪ জন অভিবাসীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। প্রায়ই বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।
মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে বলেন, গত শুক্রবার থেকেই জেরবা দ্বীপের উপকূলের কাছে মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছিল।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। ফেথি বাককুচে বলেন, এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।
এর আগে গত মঙ্গলবার তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা ২২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। এসব মরদেহ বেশ কয়েকদিন ধরে উপকূলে ভেসে ছিল।
এদিকে ফরাসি উপকূল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টাকালে শিশুসহ অন্তত পাঁচ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটেছে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ওই সময়ে ঠিক কয়টি নৌকা যাত্রা করেছিল তা এখনো নিশ্চিত নয়।
দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটি উত্তর ফ্রান্সের ভিমুরু সৈকত থেকে যুক্তরাজ্যের দিকে যাত্রা করার কিছুক্ষণ পরেই ডুবে যায়। এ দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে নিহত অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেড়ে ১৫তে দাঁড়িয়েছে।
ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ১১০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে একটি ছোট নৌকা ভিমুরু উপকূল থেকে যাত্রা করেছিল। যাত্রার পর প্রথমে নৌকাটি একটি বালির তীরে আটকা পড়ে। পরে আবার যাত্রা করে সেটি। নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল বলে জানা গেছে।