দুর্যোগ-বিধ্বস্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ টোঙ্গায় ত্রাণ পাঠাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু রাজধানীর প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়েতে স্তূপ হওয়া আগ্নেয় ছাইয়ের কারণে অবতরণ করতে পারছে না ত্রাণবাহী উড়োজাহাজ।
নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ত্রাণ সরবরাহসহ সামরিক জাহাজ দেশটির দ্বীপগুলোতে পৌঁছতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
গত শনিবার সাগরগর্ভের আগ্নেয়গিরির প্রচণ্ড অগ্ন্যুৎপাতের পর থেকে টোঙ্গায় সম্ভাব্য মানবিক সংকটের আশঙ্কা বাড়ছে। ওই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সুনামির সৃষ্টি হয়। সাবমেরিন কেবল কেটে যাওয়ায় বহির্বিশ্ব থেকে দেশটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আজ মঙ্গলবার ওয়ান নিউজ প্যাসিফিকের প্রতিনিধি বারবারা ড্রেভার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, টোঙ্গার ২০০ মানুষ সোমবার বিমানবন্দরের রানওয়ে পরিষ্কার করতে শুরু করেন। এভাবে কাজটি করতে অনেক সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
টোঙ্গায় প্রতিবেশী বড় দেশ নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পিটার লুন্ড বলেছেন, স্থানীয় সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ধ্বংসের পরিমাণ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
পিটার লুন্ড ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সেখানে ভবনগুলোর ক্ষতি হয়েছে। সুনামির ঢেউয়ের তোড়ে প্রচুর ভাঙাচোরা জিনিস এবং বড় পাথর ভেসে এসে তীরে আছড়ে পড়েছে। তবে রাজধানীর লোকজন স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে। ছাইয়ের পুরু আস্তরণ সরানোর প্রচেষ্টা চলছে। বিশেষ করে রাজধানী নুকু’আলোফার প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছাই অপসারণের চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে প্রথম ত্রাণ ফ্লাইটগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আসতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের হাইকমিশনার লুন্ড আরো বলেছেন, একজন ব্রিটিশসহ তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, তবে সবার খবর নিশ্চিত নয়। এর মধ্যে একজন ৫০ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক অ্যাঞ্জেলা গ্লোভার তার কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে ভেসে যান। তার মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানিয়েছে পরিবার।
ইতিমধ্যে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য নজরদারি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
রেডক্রস বলছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল ততটা নয়।