ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। লালুপ্রসাদকে পাটনায় নয় ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছে।
সোমবার দিল্লিতে হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে যান ইডির কর্মকর্তারা। হেমন্ত সোরেনের একটি বিএমডাব্লিউ গাড়ি ছিল। সেটিকে তারা বাজেয়াপ্ত করেন। বেশ কিছু নথিপত্রও তারা নিয়ে গিয়েছেন।
ইডি সূত্র জানিয়েছে, বাড়ি থেকে ৩৬ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। কিন্তু তারা হেমন্ত সোরেনকে পাননি। হেমন্ত যে বিশেষ বিমানে দিল্লি এসেছেন, তা বিমানবন্দরে আছে। হেমন্ত ও তার সঙ্গে থাকা কর্মীদের ফোন বন্ধ আছে। তাই হেমন্তকে তারা কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেননি।
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের সঙ্গে হেমন্ত সোরেনের যোগাযোগ আছে। হেমন্ত সোরেনকে এর আগে নয়বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল ইডি। কিন্তু হেমন্ত যাননি। গত শনিবার ভারতের এই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সমন পাঠিয়ে জানায়, ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি দিল্লিতে হেমন্তকে তাদের দপ্তরে আসতে হবে। কিন্তু হেমন্ত তার কোনো জবাব দেননি। তখন ২৯ বা ৩১ তারিখ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় রাখতে বলা হয়।
গত ২০ জানুয়ারি হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালায়। মূলত অর্থ তছরুপের অভিযোগ নিয়ে এই তল্লাশি হয়। সাত ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলে। হেমন্ত ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার অভিযোগ, তার নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেজন্যই ইডিকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
আর ইডি সূত্রের দাবি, রাঁচিতে সাত দশমিক ১৬ একর জমি নিয়ে হেমন্ত ঠিকঠাক জবাব দিতে পারেননি।
এদিকে, বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে নয় ঘণ্টা ধরে জেরা করে ইডি। লালুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রেলমন্ত্রী থাকার সময় অর্থ ও জমির বিনিময়ে বহু যুবককে গ্রুপ ডি-র চাকরি দিয়েছিলেন। তার স্ত্রী রাবড়ি দেবী ও দুই মেয়ে মিসা ও হেমার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করেছে ইডি।
ইডি মনে করছে, লালুর পরিবারের নামে এবং একটি সংস্থার নামে জমি নেয়া হয়। ওই সংস্থার সঙ্গে লালুর পরিবারের যোগ আছে। রোববারই লালুর দলের সঙ্গ ছেড়ে আবার বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন নীতীশ কুমার। তার একদিন পরেই ৭৫ বছর বয়সী লালুপ্রসাদকে ডেকে পাঠিয়ে দীর্ঘ জেরা করলো ইডি।