English

25 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

জেস ডেভিস নামে এক যুবতীকে শত শত আপত্তিকর ছবি পাঠানো হয়েছে!

- Advertisements -

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রভাবশালী জেস ডেভিস বলেছেন, অনলাইনে তাকে শত শত আপত্তিকর ছবি পাঠানো হয়েছে। গত ১০ বছরে তিনি এমন সাইবার সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। ওয়েলসের ভেল অব গ্লামরগানে অবস্থিত পেনার্থে তার বাসা। অনলাইনে যখন এভাবে সাইবার নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে তখন অনলাইন নিরাপত্তা আইন কঠোর করার দাবি উঠেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এক্ষেত্রে বৃটিশ সরকার বলেছে, তারা সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক কোম্পানিগুলোকে অনলাইনে এসব নির্যাতন বা নিয়ম, লঙ্ঘন বন্ধ করতে বলবে। ইনস্টাগ্রামে জেস ডেভিসের অনুসারীর সংখ্যা এক লাখ ৫১ হাজার। তিনি বলেছেন, তাকে যেসব ছবি পাঠানো হয়েছে তা দেখে তিনি অসাড় হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, অফলাইনে যা বেআইনি, অন্যায় তা অনলাইনেও বেআইনি হওয়া উচিত।

তার ভাষায়, প্রতি মাসেই আমি সাইবার অপদস্তের শিকার হই। হয়তো তার চেয়েও বেশি। এটা নির্ভর করে, আমি যা শেয়ার করি তার ওপর। এই অবস্থা চলছে ১০ বছর ধরে। আক্ষরিক অর্থে আমি এমন শত শত ছবি পেয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি।

আবার কোনোটাতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ছবি। এসব ছবি যখন পাই তখন নিজের কাছে খুব খারাপ লাগে। চিন্তা চলে আসে, কেন এসব আমাকে পাঠানো হচ্ছে? কেন সবাই আমাকেই এসব পাঠাচ্ছে? আমি কি কিছু অন্যায় করেছি?
তার আতঙ্ক এ বিষয়টিই বুঝি এখন অনলাইনে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কারণ, জনগণ এ নিয়ে কথা বলছে না। তাই জেস ডেভিস বলেন, যখন রাস্তায় আপনাকে হাজার হাজার পুরুষ অবমাননা করে, তাহলে তা বেআইনি। তাহলে অনলাইনে কেন এসব মেনে নেয়া হচ্ছে? প্রশ্ন রাখেন তিনি। উল্লেখ্য, করোনা মহামারির সময়ে এই অপরাধটা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পাচ্ছে। কারণ, মানুষ বেশি থেকে বেশি অনলাইনে সময় কাটাচ্ছে।

মঙ্গলবার বৃটিশ সরকারের অনলাইন সেফটি বিল প্রকাশ করার কথা রয়েছে এমপিদের যৌথ কমিটির। এতে সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। তবে এই বিলে সাইবার বা অনলাইনে মেয়েদের উত্যক্ত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তবে ক্যাম্পেইনার ও এমপিরা এ বিষয়ে সংশোধনের আশা করছেন এবং এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, সাইবার উত্যক্তকরণ বেআইনি হওয়া উচিত। ব্রেকন অ্যান্ড র‌্যাডনরের রক্ষণীশল দলের এমপি ফে জোনসের একই দাবি।

তিনিও সাইবার অপরাধের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। তাই তিনিও এটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার প্রচারণায় আছেন। ১৭ বছর বয়সে কার্ডিফে একজন পুরুষ তাকে অবমাননা করেছিলেন। এক রাতে ওই ব্যক্তি তার দিকে হেঁটে যান এবং নিজেকে তার সামনে প্রকাশ করেন। ফে জোনস বলেন, ওই দিনটার কথা কখনো ভুলিনি। এই ভীতিটা আমার সঙ্গে দীর্ঘ সময় ছিল। এ বিষয়ে লেবার দলের ওয়েলশ সেক্রেটারি জো স্টিভেন্স যুক্তি দেন যে, প্রয়োজন অনেক কিছু পরিবর্তনের।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন