আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল। একই সঙ্গে জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল আবগারি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তেলঙ্গানার ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী কে কবিতারও। আজ মঙ্গলবার তাদেরকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত। আগামী ৭ মে পর্যন্ত তারা জেলে থাকবেন।
কেজরি ও কবিতা ছাড়াও গোয়ার আম আদমি পার্টির তহবিল সংগঠক চানপ্রিত সিংকে এদিন ভার্চুয়ালি হাজির করা হয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন আপ সুপ্রিমো। তারপর ইডি হেফাজত থেকে তাঁকে পাঠানো হয় তিহার জেলে। জেল থেকেই গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। যে মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৯ এপ্রিল। তবে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে ইডির কাছে জবাব তলব করেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই মেয়াদ ফুরানোর দিনই দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে আজ কেজরির জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানি হয়।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা অভিযোগ করেন, ইনসুলিন না দিয়ে জেলে তাঁর স্বামীকে মেরে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। একের পর এক নেতারা অভিযোগ করেন, জেলের মধ্যেই হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে কেজরিওয়ালকে। ইনসুলিন না পেয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ডায়াবেটিস বেড়ে গেছে।
১২ বছর ধরে ইনসুলিন নেওয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কেন তিহার জেল কর্তৃপক্ষ তা দিচ্ছিল না- এই ব্যাপারে সোমবার আদালতে প্রশ্নের মুখে পরে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। আদালতের হস্তক্ষেপে সোমবার রাতেই কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন কারা চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার জেল কর্তৃপক্ষ আদালতে জানায়, সুস্থ আছেন কেজরিওয়াল। তার ডায়াবেটিসের মাত্রা স্বাভাবিক হয়েছে।
জেল কর্মকর্তারা বলেছেন, বাড়ির খাবার খেয়েই ডায়াবেটিস বাড়িয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আদালতের নির্দেশ, ১৫ দিন অন্তর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে আদালতকে। পাশাপাশি বাড়ির খাবার খেলেও ডাক্তারের দেওয়া ডায়েট চার্ট মেনেই খেতে হবে তাকে।