English

21 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

জেল নাকি হোয়াইট হাউস, মঙ্গলবার ভাগ্য পরীক্ষা ট্রাম্পের!

- Advertisements -

আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বব্যাপী বহুল আলোচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত দুই প্রার্থী।

জনমত জরিপ বলছে- ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে কমলা হ্যারিসের। তাই কমলা ও ট্রাম্প গত কয়েক দিন ধরেই দোদুল্যমান সাতটি অঙ্গরাজ্যে চষে বেড়াচ্ছেন। কেননা, এই অঙ্গরাজ্যগুলোই নির্ধারণ করে দেবে তাদের ভাগ্য।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের চেয়ে হ্যারিস মাত্র ১ শতাংশ এগিয়ে আছেন। ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার হার যেখানে ৪৭ শতাংশ, সেখানে হ্যারিসের জনপ্রিয়তার হার ৪৮ শতাংশ।

এবারের নির্বাচনকে ঘিরে ট্রাম্পের ভাগ্য প্রেসিডেন্ট পদ ও কারাবাসের ঝুঁকির মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। জিতলে তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন; আর হেরে গেলে তাকে কারাগারে যেতে হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র কোডের অ্যাক্সেস পাওয়া প্রথম দোষী সাব্যস্ত অপরাধী। তার হোটেল ও ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ে নানা অভিযোগ আছে; তার বিরুদ্ধে আছে কর জালিয়াতির অভিযোগও।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, যদি ট্রাম্প বিজয়ী হন, তাহলে তিনি হবেন হোয়াইট হাউসে যাওয়া ও পারমাণবিক অস্ত্র কোডের অ্যাক্সেস পাওয়া প্রথম দোষী সাব্যস্ত অপরাধী। আর যদি তিনি বিজয় থেকে ছিটকে পড়েন, তাহলে ৭৮ বছরের ট্রাম্পকে আরও অপমানজনক আদালতের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে; এমনকি কারাগারেও যেতে হতে পারে। এটি হবে তার মোহনীয় জীবনের সমাপ্তি, যে জীবনে তিনি সবসময় আইন ও জবাবদিহিতাকে এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

তাই বলা হচ্ছে, মঙ্গলবার দিনটি কার্যত ট্রাম্পের জন্য রায়ের দিন।

ট্রাম্পের জীবনী লেখক গোয়েন্ডা ব্লেয়ার বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) নিজেকে সেই লোক হিসেবে তুলে ধরেন, যিনি এগুলো (আইন-জবাবদিহি) থেকে দূরে চলে গেছেন। তবে তিনি এবার অনেক হিসাব-নিকাশের মুহূর্তের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাকে জেলে যেতে হতে পারে; সম্পত্তি কমে যেতে পারে। যাই ঘটুক না কেন এবং তিনি জিতুন বা হারুন– তার স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকবেই। তিনি মৃত্যু, অসুস্থতা, স্মৃতিভ্রংশ– এগুলো এড়িয়ে যেতে পারবেন না।”

১৯৭০-এর দশকে সাদা ভবনগুলোতে কৃষ্ণাঙ্গদের অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া দিতে অস্বীকার করায় জাতিগত বৈষম্যের জন্য বিচার বিভাগ ট্রাম্প ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা করে। তার হোটেল ও ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। তার ট্রাম্প ইউনিভার্সিটি প্রোপার্টি প্রশিক্ষণ কোর্স প্রস্তাব করে ব্যবসা, জালিয়াতি, বিভ্রান্তিকর বিপণন ও গুণমান সম্পর্কে মিথ্যা দাবির জন্য একাধিক মামলার সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৬ সালে ট্রাম্প ভুল স্বীকার না করে ২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক করেন।

দাতব্য সংস্থা ডোনাল্ড জে ট্রাম্প ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে দাতব্য তহবিল ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক খরচের জন্য ব্যবহারের অভিযোগে মামলা ও তদন্ত চলছে। অবশেষে ট্রাম্প দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অবশিষ্ট তহবিল দিয়ে ফাউন্ডেশনটি ভেঙে দিতে সম্মত হন। প্রতারণার মামলারও মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প। তার কোম্পানিকে কৃত্রিমভাবে তার নেট মূল্যস্ফীত বাড়ানোর জন্য আদালত ৩৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করে। তার বিরুদ্ধে কর জালিয়াতির অভিযোগও আছে। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত জীবনও নানা বিতর্ক ও স্ক্যান্ডালে পূর্ণ। অভিযোগ আছে- তিন স্ত্রীর সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন ট্রাম্প। 

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন