ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে কমপক্ষে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ হয়েছেন বহু মানুষ। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির পুলিশ।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বন্যায় নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া ও রাইনল্যান্ড-পালাটিনেট রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানকার বেশিরভাগ ভবন ও অনেক গাড়ি ভেসে গেছে।
এই বন্যাকে ‘বিপর্যয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন জার্মানির রাইনল্যান্ড-পালাটিনেট রাজ্যের প্রধান মালু ড্রেয়ার। তিনি বলেন, ‘সেখানে অনেকে মারা গেছে, অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। অনেক বাসিন্দা এখনও ঝুঁকিতে আছেন। আমাদের সমস্ত জরুরি পরিষেবা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। তারা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে কাজ করে যাচ্ছে।’
আটকে পড়া বাসিন্দাদের সহায়তার জন্য কয়েকটি এলাকায় পুলিশ ও কয়েকশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। হেলিকপ্টার নিয়ে সেখানে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।
বন্যার কারণে জামার্নির পশ্চিমাঞ্চলের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং পরিবহন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
বন্যায় জার্মানির পাশাপাশি পশ্চিম ইউরোপের কিছু অংশে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে বড় নদীগুলির তীর ভাঙতে শুরু করেছে। জার্মানির প্রতিবেশী দেশ বেলজিয়ামে অন্তত ছয়জন বন্যার কারণে মারা গেছেন। ইয়েজ শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নেদারল্যান্ডসও বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পশ্চিম ইউরোপের বেশিরভাগ অংশে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল বলেছেন, মারাত্মক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে অনেক দেশ। ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘সহায়তা করতে প্রস্তুত।’