জাপানে চলতি বছর প্রথমবারের মতো ভালুকের আক্রমণে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, শীতকাল চলে এসেছে। এখন ক্ষুধার্ত ভালুকের আক্রমণ আরও বাড়তে পারে।
এর আগে ২০২০ সালে ভালুকের আক্রমণে ১৫৮ জনের মত্যু রেকর্ড করেছিল জাপান সরকার, যেটি ছিল এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু। সেই রেকর্ডকে অতিক্রম করল চলতি বছরের মৃত্যুর সংখ্যা।
জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আট মাসে ২১২জন মানুষের ওপর ভালুক আক্রমণ করেছে। এর মধ্যে ৩০ জনের ওপর আক্রমণ হয়েছে শুধু গত নভেম্বরেই। এই ৩০ জনের মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন হোক্কাইডো প্রদেশে। এ বছরের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আক্রমণ উত্তর-পূর্ব জাপানে ঘটেছে।
জাপানের পরিবশে মন্ত্রণালয় বলেছে, খাদ্যের সন্ধানে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে আসার কারণে ভালুকের সঙ্গে মানুষের সংঘর্ষের ঘটনা বেড়েছে।
বন বিশেষজ্ঞ তেরুকি ওকা বলেন, শীতাকালে সাধারণত ভালুকেরা শীত নিদ্রায় থাকে। কিন্তু বনাঞ্চলে খাদ্য ঘাটতির কারণে এ বছর শীতে ক্ষুধার্ত ভালুকেরা শীতনিদ্রার পরিবর্তে লোকালয়ে চলে আসতে পারে। এ কারণে মানুষের ওপর ভালুকের আক্রমণও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আকিতা প্রিফেকচারাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কাজুহিকো হোশিজাকি বলেন, বনাঞ্চলে বিচ বাদাম ও অন্যান্য খাবারের অপ্রতুলতা দেখা দেওয়ায় ভালুকের মতো প্রাণিরা তাদের আবাসস্থল থেকে বের হয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয় ভালুকের আক্রমণ বাড়াকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে দাবি করেছে এবং লোকালয়ের বাসিন্দাদের সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করর আহ্বান জানিয়েছে।
জাপান সরকারের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে ভালুকের সংখ্যা বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে। চলতি বছরে ভালুকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার। এর আগে ২০১২ সালে সংখ্যাটি ছিল ১৫ হাজার।