ত্বকের যত্নে সহায়ক
ভিনেগার ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ব্রণ ও দাগ কমাতে কার্যকর। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকে জীবাণু জন্মাতে বাধা দেয় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল রাখে।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিনেগারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে।
শরীর ডিটক্স করে
ভিনেগার লিভার ও কিডনির কার্যক্ষমতা উন্নত করে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। এটি দেহের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতেও কার্যকর।
হজমে সহায়ক
ভিনেগারে রয়েছে প্রোবায়োটিক ও এসিটিক এসিড। যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
এটি গ্যাস, ব্লোটিং ও এসিড রিফ্লাক্স কমাতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে
খাবারের সঙ্গে ভিনেগার গ্রহণ করলে এটি কার্বোহাইড্রেট শোষণের গতি কমিয়ে দেয়। যার ফলে রক্তে শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
ওজন কমাতে সহায়ক
ভিনেগার খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে।
ফলে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ কমে যায়। পাশাপাশি এটি মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
পুষ্টি শোষণ ও হজমশক্তি বাড়ায়
ভিনেগার খাবারের হজমে সহায়ক এনজাইমের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে খাবার দ্রুত ও ভালোভাবে হজম হয়। শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি সহজেই শোষণ করতে পারে।
কিভাবে ভিনেগার খাবেন?
জাপানিরা সাধারণত খাবারের আগে ১-২ চামচ (প্রায় ১৫-৩০ মিলি) ভিনেগার পান করেন। তবে এটি সরাসরি না খেয়ে পানিতে মিশিয়ে খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত ভিনেগার পান করলে পাকস্থলীর অম্লতা বেড়ে যেতে পারে। তাই দিনে ৩০ মিলির বেশি পান না করাই ভালো।