যুক্তরাষ্ট্রে দিনকে দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পর্নোছবি। পুরো যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর প্রায় প্রতিটি রাজ্য থেকে বিভিন্ন রকম পর্নো ছবি সার্স করা হয়েছে। এর অর্থ ভোক্তা এসব ছবি উপভোগ করেছেন। সবচেয়ে বেশি সার্স করা হয়েছে যে পর্নো তারকাকে তিনি হলেন ২৫ বছর বয়সী লানা রোডস। ইলিনয় রাজ্যে জন্মগ্রহণ করা এই অভিনেত্রী এ বছরের শুরুর দিকে পর্নো ছবিতে অভিনয় বন্ধ করে দিয়েছেন। এরপর বলেছেন, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য তৈরি করা এসব ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি এখন অনুশোচনা করেন। এমন অনুশোচনা তিনি একাই নন। একই রকম অনুশোচনা করেছেন লেবাননে জন্ম নেয়া সাবেক পর্নো তারকা মিয়া খলিফাও।
একটি পর্নো বিষয়ক ওয়েবসাইট এ বছরে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে এমন তারকাদের নাম প্রকাশ করেছে।
প্রাপ্ত বয়স্কদের ওই ওয়েবসাইট বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিনিদের মনোবাসনা এবং অভ্যাস সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছে। এ বছর তারা সবচেয়ে বেশি সার্স করেছে যে শব্দটি দিয়ে তা হলো ‘লেসবিয়ান সিজরিং’ এবং ‘ম্যাচিউর এমআইএলএফ’। দ্বিতীয় বছরের মতো সবচেয়ে বেশি দেখা হয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ বিষয়ক ক্যাটাগরির ভিডিও। এরপরেই রয়েছে ‘লেসবিয়ান’ বা নারীতে নারীতে সমকামিতা ও ‘এমআইএলএফ’। অন্যদিকে ‘ট্রান্স’ শব্দটি গত বছরের তুলনায় শতকরা ১৩৪ ভাগ বেশি সার্স করা হয়েছে।
ওই ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকদের মধ্যে শতকরা ৬৭ ভাগই পুরুষ। তবে এ বছর এক্ষেত্রে নারী দর্শকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে যারা এসব ছবি দেখেছেন তাদের গড় বয়স ৩৭ বছর। অন্যদিকে মোট দর্শকের মধ্যে ৬৫ বছর বা তারও বেশি বয়সীদের শতকরা হার ৭ ভাগ। শতকরা ৮৫ ভাগ মার্কিন দর্শক এসব ছবি দেখেছেন তাদের স্মার্টফোনে। হয়তো সেটা বেডরুমে লুকিয়ে না হয় বাথরুমে বসে। গড়ে তারা প্রতিজন ৯ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড উপভোগ করেছেন এসব ছবি।
রিপাবলিকানদের আধিপত্য আছে এমন রাজ্যগুলোতে বেশি সময় পর্নো ছবি দেখেছেন দর্শকরা। এর মধ্যে আছে উইওমিং, মিসিসিপি, আলাবামা এবং আরকানসাস। সেখানে গড়ে প্রতিজন দর্শক কমপক্ষে ১০ মিনিট করে পর্নো ছবি দেখেছেন।