অ্যাশলে ম্যাকনেল (৩৪)। পদার্থবিজ্ঞানের ৩৪ বছর বয়সী শিক্ষিকা। বিবাহিতা। তা সত্ত্বেও তিনি তার বয়সের অর্ধেক অর্থাৎ ১৭ বছর বয়সী এক বালক শিক্ষার্থীকে নিয়ে নৈশক্লাবে মেতে উঠেছিলেন। স্কটল্যান্ডের কেইথনেসের থুরসো’তে ওই নৈশক্লাবে ওই বালককে তিনি চুম্বন করেন। এ ছাড়া তার সঙ্গে অশালীন আচরণে মেতে ওঠেন। এ অভিযোগে অভিযুক্ত হন অ্যাশলে। তাকে স্কুল থেকে বাইরে রাখা হয়। কিন্তু শিক্ষা দেয়ায় তার দক্ষতার কারণে আবার তাকে ক্লাস নিতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। ফলে তিনি ফিরছেন ক্লাসে।
১০ই আগস্ট বুধবার তাকে এমন অনুমতি দিয়েছে জেনারেল টিচিং কাউন্সিল ফর স্কটল্যান্ড (জিসিটিএস)। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
২০১৮ সালে ওই নৈশক্লাবে ১৭ বছর বয়সী ওই বালককে নিয়ে নাচেন অ্যাশলে। তাকে চুম্বন করেন। তার হাত ধরে রাখেন। ক্লাবে উপস্থিত অন্য শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি অশালীন মন্তব্য করেন। এ নিয়ে তদন্ত হয়। জুলাইয়ে ওই তদন্ত কমিশনের সামনে হাজির হয়ে তিনি স্বীকার করেন, রাতের পার্টির আগে তিনি বেশি মাত্রায় এলকোহল পান করেছিলেন। তারপর কি হয়েছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত স্মরণ করতে পারেননি তিনি।
অ্যাশলে সোয়ানসন নামেও পরিচিত অ্যাশলে। তিনি এর আগে কাজ করেছেন কেইথনেসের থুরসো হাই স্কুলে।ওই রাতে এক সহকর্মীর ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ডিনার এবং পানীয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। মাধ্যমিক স্কুলের সহকর্মী এক শিক্ষক বলেছেন, আমি মনে করি না যে, তিনি নিজেকে পুরো নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। মাতালের চেয়েও বেশি কিছু ছিলেন তিনি।
তবে তিনি ওই ঘটনার বাইরে আর কিছু করেছেন, এমনটা আমি স্মরণ করতে পারছি না। তিনি সংযত হলে এটা কখনোই ঘটতো না। যখন মানুষ মদ পান করে, তখন কোনো কিছুই স্বাভাবিকভাবে করে না। তিনি অসংযত আচরণ করলে আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিই।