সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের নারীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ এনে চীনা দূতাবাসের দেওয়া একটি পোস্ট ডিলেট করেছে। পোস্টটিতে দাবি করা হয়েছে যে উইঘুর মহিলারা “মুক্ত” এবং এখন তারা আর “বাচ্চা তৈরির যন্ত্র” নয়। অবশ্য পরে বিবৃতিটি মুছে ফেলে চীনা দূতাবাস।
যুক্তরাষ্ট্রের চীনা দূতাবাস টুইটারে লেখে, ‘উইঘুর নারীদের সন্তান জন্মদানের মেশিন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।’ দূতাবাসের এ ধরনের মন্তব্যকে অমানবিক আচরণ অভিহিত করে গত শনিবার চীনা দূতাবাসের টুইটটি ব্লক করে টুইটার কর্তৃপক্ষ। টুইটার কর্তৃপক্ষ জানায়, পর্যালোচনার পর দেখা গেছে চীনা কর্তৃপক্ষ ধর্ম-বর্ণ বা বর্ণের ভিত্তিতে এ ধরনের অমানবিক নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নিয়েছে যা আমাদের নীতিমালার বরখেলাপ।
অবশ্য পরে টুইটারে দেওয়া বিবৃতি মুছে ফেলে চীনা দূতাবাস। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘চরমপন্থা নির্মূলের অংশ হিসাবে উইঘুর নারীদের লিঙ্গ সাম্যতা বজায় রাখতে ও তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নতির জন্যে ঘন ঘন সন্তান জন্ম দেওয়া বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যা তাদের আরো আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।’