মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের স্পেসক্রাফট ব্লু ঘোস্ট মিশন-১ চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করেছে। এটি দ্বিতীয় বেসরকারি চন্দ্রাভিযান, যা সঠিকভাবে উল্লম্ব (upright) অবস্থায় চাঁদের মাটিতে নেমেছে।
রবিবার (স্থানীয় সময়) ভোর ৩:৩৪ মিনিটে (মার্কিন ইস্টার্ন টাইম) চাঁদের উত্তর-পূর্ব পাশে মন্স লাট্রেইল নামক আগ্নেয়গিরির গঠনের কাছে এটি অবতরণ করে। টেক্সাসের অস্টিনে মিশন কন্ট্রোল সেন্টার থেকে এক প্রকৌশলী উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা দেন, ‘আমরা সফল হয়েছি, ব্লু ঘোস্ট চাঁদে নেমেছে!’
ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের সিইও জেসন কিম নিশ্চিত করেছেন, ল্যান্ডারটি স্থিতিশীল ও উল্লম্ব অবস্থায় রয়েছে। এর আগে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইন্টুইটিভ মেশিনসের ল্যান্ডার চাঁদে অবতরণ করলেও সেটি একপাশে কাত হয়ে পড়ে গিয়েছিল। ফলে পর্যাপ্ত সৌরশক্তি সংগ্রহ করতে না পারায় মিশন দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
নাসার সায়েন্স মিশন ডিরেক্টরেটের সহযোগী প্রশাসক নিকি ফক্স উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমরা চাঁদে পৌঁছেছি! এই মিশনকে বলা হচ্ছে ‘ঘোস্ট রাইডার্স ইন দ্য স্কাই’ যা নাসার আর্টেমিস প্রকল্পের অংশ। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য মানুষকে আবার চাঁদে পাঠানো।
হাতির সমান আকারের এই সোনালি রঙের ল্যান্ডারটি গত ১৫ জানুয়ারি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে চড়ে মহাকাশ যাত্রা শুরু করেছিল। এটি ১০টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে—লুনার মাটির বিশ্লেষক, রেডিয়েশন সহনশীল কম্পিউটার, চাঁদে স্যাটেলাইট নেভিগেশন পরীক্ষা
এই মিশনের মূল লক্ষ্য চাঁদে একটি পূর্ণ চন্দ্র দিবস (১৪ পৃথিবী দিন) ধরে কাজ করা। ১৪ মার্চ এটি একটি পূর্ণ সূর্যগ্রহণের উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি ধারণ করবে। এছাড়া, ১৬ মার্চ এটি চাঁদের সূর্যাস্ত রেকর্ড করবে, যা চন্দ্রপৃষ্ঠের ধুলিকণা কীভাবে সূর্যের আলোয় ভেসে ওঠে তা বিশ্লেষণে সহায়তা করবে।