পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,অন্যান্য দিনের মতোই মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সুন্দরীকে চা আনতে বলেছিলেন ৫২ বছর বয়সী ধর্মবীর। কিন্তু চা করতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন স্ত্রী। এতেই সুন্দরীর উপর ক্ষেপে গিয়েছিলেন ধর্মবীর।
এরপর চা দেরিতে বানানো নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয়ে বিতণ্ডা। পরিস্থিতি চরম আকার নিলে, তলোয়ার নিয়ে আসেন ধর্মবীর। একপর্যায়ে রাগের বশে স্ত্রীর শিরচ্ছেদ করেন তিনি।
সেসময় তাদের চার সন্তান অন্য ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ চিৎকারে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। পরে তাদের চিকিৎকারে প্রতিবেশীরাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ঘরে সুন্দরীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে সবাই। পরে ওই দম্পতির এক ছেলে স্থানীয় থানায় খবর দিলে, পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পাশাপাশি ধর্মবীরকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
গাজিয়াবাদের সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্ঞানপ্রকাশ রায় জানিয়েছেন, তর্কাতর্কির সময় পিছন থেকে স্ত্রীর ঘাড়ে তলোয়ার দিয়ে আঘাত করেছিলেন ধর্মবীর। তলোয়ারটি জব্দ করা হয়েছে। বর্তমানে আসামিকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রেখেছে।
চা দিতে দেরি হওয়া নিয়ে গ্যানজাম ছাড়াও, এ ঘটনার পিছনে আর কোনো কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত। সেই সঙ্গে ধর্মবীরের বিরুদ্ধে খুনসহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্ঞানপ্রকাশ রায়।