প্রতিবেশী গ্রীসের ‘রাফাল’ যুদ্ধবিমান প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে কাতারের পাশে দাঁড়াচ্ছে তুরস্ক। রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দেশটি একইধরনের যুদ্ধবিমান ব্যবহারের কৌশল হাতে নিয়েছে। এ লক্ষ্যে কাতারের সঙ্গে সামরিক প্রশিক্ষণ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তুরস্ক।
জানা গেছে, কাতারের সঙ্গে ওই চুক্তি করার পেছনে তুরস্কের উদ্দেশ্য হচ্ছে তুর্কি বিমান বাহিনীর পাইলটদেরকে রাফাল যুদ্ধবিমানের সঙ্গে পরিচিত করানো এবং এগুলো ব্যবহার করতে শেখা। গ্রিসের কাছ থাকা রাফাল বিমান যাতে তুরস্কের কোনো ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য আঙ্কারা এই কৌশল অবলম্বন করছে।
তুরস্কের একটি সংসদীয় কমিটির নথিপত্রের বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স এসব তথ্য জানিয়েছে। এদিকে, ২০২১ সালের মার্চ মাসে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির ভিত্তিতে কাতারের ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান ও ২৫০ জন সৈন্য তুরস্কে মোতায়েন করা যাবে।
চুক্তির ধারাগুলো সম্পর্কে তুর্কি সংসদ সদস্য কিলিচ কুচিগিত বলেছেন, এই চুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধারা হচ্ছে, কাতার ফ্রান্সের কাছ থেকে কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো তুরস্কে নিয়ে আসতে পারবে। তিনি আরো বলেন, গ্রিস তুরস্কের কাছ থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কিনে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যার ফলে পূর্ব ভূমধ্যসাগর থেকেও আঙ্কারার জন্য সামরিক হুমকি আসতে শুরু করেছে।
কাতারসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরের পরিবর্তে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিদ্যমান মতপার্থক্য কূটনৈতিক উপায়ে নিরসনের আহ্বান জানান তুরস্কের এই সংসদ সদস্য।