English

19 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

গান্ধীর ছবি নিয়ে ইউরোপে বিক্ষোভ

- Advertisements -

ঘর-বন্দি থাকতে হচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু পুরনো দিনের মতো ‘স্বাধীনতা-ই’ বা কোথায়! ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এখন বাসিন্দাদের ওপর ঝোলানো হয়েছে টিকাকরণ কার্ডের খাঁড়া।

ক্যাফেতে চা-কফি খাওয়া, রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ, কিংবা স্টেডিয়ামে খেলা দেখা, টিকা নেওয়ার কার্ড থাকলেই কেবল এ ধরনের কাজকর্মে অনুমতি মিলবে। এই নতুন নিয়মের গেরো থেকে মুক্তির দাবিতে সপ্তাহ শেষে ইতালি ও ফ্রান্সের রাস্তায় নামলেন হাজার হাজার মানুষ।

করোনা-বিধি প্রত্যাহারের দাবিতে আজ বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে জার্মানির বার্লিনেও। সেখানকার বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ও মার্টিন লুথার কিং-এর মতো শান্তিদূতদের পোস্টার। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়।

ইতালি ও ফ্রান্স, দুই দেশের নেতারাই টিকাকরণ কার্ড চালু করতে বদ্ধপরিকর। ইতালিতে নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্রিন পাস’। আর ফ্রান্সে নাম ‘হেল্‌থ পাস’। টিকাকরণের ওপর জোর দিতেই সরকারের এই ব্যবস্থা।

এখনো বাসিন্দাদের একাংশ করোনা টিকা দেওয়ার বিরোধিতা করছেন। টিকা নেওয়ার ওপর জোর দেওয়াকে তারা মানবাধিকারে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

কেউ কেউ আবার টিকা কতটা নিরাপদ, সেটা নিয়ে চিন্তিত। এই টিকা-বিরোধিতাকে তাই অনেকে রসিকতা করে বলছেন, ‘‘মৃত্যুর আবেদন।’’

টিকাকরণ নয়, স্বাধীনতা চাই— এই দাবিতে গত সপ্তাহের শেষে অন্তত ৮০ হাজার মানুষ ইতালির বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমেছিলেন। পরপর তিন শনি-রবি বিক্ষোভ মিছিলের সাক্ষী হয়েছে প্যারিস।

ইউরোপের কোনো দেশেই টিকাকরণ বাধ্যতামূলক নয়। সেভাবে প্রচারও করা হচ্ছে না বেশিরভাগ দেশে। কিন্তু একাধিক দেশে ‘ভ্যাকসিন পাস’-এর নিয়ম জারি করা হয়েছে।

ডেনমার্কে পাস চালু হয়ে গেছে। বেলজিয়ামে নিয়ম হয়েছে, কোনো আউটডোর ইভেন্টে দেড় হাজারের বেশি লোক হলে টিকা দেওয়ার সার্টিফিকেট লাগবে। আগস্টের মাঝামাঝি এই নিয়ম চালু হবে। বদ্ধ জায়গায় অনুষ্ঠানের এখনো অনুমতি নেই সে দেশে। সেপ্টেম্বর থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তাতেও লাগবে টিকার সার্টিফিকেট। স্পেনে লোকজন নিজেদের উৎসাহেই টিকা নিচ্ছে। প্রতিষেধক-অনীহা নেই।

ইতালির ভেরোনায় এক বিক্ষোভকারী বলেন, নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে এভাবে। এক দল লোককে ফার্স্ট-ক্লাস নাগরিকের তকমা দেওয়া হচ্ছে। তারা সরকারি পরিষেবা পাবেন, থিয়েটারে যেতে পারবেন, কাফে-রেস্তোরাঁয় ঢুকতে পারবেন। আরেক দল দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। তারা এসব পারবেন না। এসব তো নাৎসি শাসন!

নাৎসি অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে বিক্ষোভকারীদের অনেকে জামায় ‘স্টার অব ডেভিড’ পরে (ইহুদিদের চিহ্নিত করতে তাঁদের জামায় ‘স্টার’ থাকত) মিছিল করেন। এ হেন তুলনায় নাৎসি অত্যাচার থেকে বেঁচে ফেরা ইহুদিরা ভীষণই অসন্তুষ্ট।
সূত্র: ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন