যুদ্ধবিরতি মুলতুবি। গাজা লক্ষ্য করে দিনভর রকেট হামলা এবং বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, হামলা অব্যাহত থাকবে। গাজায় হামাসের একটি দফতর এবং একটি রকেট লঞ্চিং প্যাড ধ্বংস করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকালে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে বুধবার ভোরে গাজায় বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। এরপর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের মতো আক্রমাণ চালায় ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস আগুনের গোলা ভর্তি বেলুন ইসরায়েল লক্ষ্য করে পাঠিয়েছিল। এর আগেও একাধিকবার হামাস এ কাজ করেছে। আগুনের গোলা ভরা বেলুন ইসরায়েলের খেত জ্বালিয়ে দিয়েছে। আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বহু বাড়িতে। এবারও তেমন বেলুন দেখে পাল্টা আঘাত হানে ইসরায়েল। গাজা স্ট্রিপ লক্ষ্য করে দিনভর একের পর এক রকেট এবং বিমান হানা চালানো হয়।
ইসরায়েলের সেনা টুইট করে জানিয়েছে, আক্রমণ আপাতত চলবে। হামাসের বেশ কিছু পরিকাঠামো ধ্বংস করা গেছে বলেও তাদের দাবি।
ইসরায়েলের আক্রমণ নিয়ে হামাস অবশ্য এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়নি। মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায়নি। তবে হামাসও পাল্টা রকেট হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গাজায় অবস্থিত সাংবাদিকদের খবর।
গত মাসেই কয়েক সপ্তাহ ধরে হামাস এবং ইসরায়েলের সেনার তীব্র লড়াই হয়েছে। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ কার্যত যুদ্ধের চেহারা নিয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল অসংখ্য মানুষের। তার মধ্যে বেশ কিছু নারী এবং শিশু ছিল। শেষ পর্যন্ত মিশরের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। দুই সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন টুইট করে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাপিদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। ইসরায়েলে এখন নতুন মন্ত্রিসভা। নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। ব্লিংকেন জানিয়েছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা আমেরিকার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসরায়েলকে সব রকম সাহায্য করা হবে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, নতুন করে এই সংঘাত ফের যুদ্ধের আবহের দিকে যেতে পারে। হামাস পাল্টা আক্রমণ শানাতে শুরু করলে ইসরায়েলের আক্রমণও আরও বাড়বে। ফের সাধারণ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হবে। ফলে নতুন করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। সূত্র: আল-জাজিরা, ডয়েচে ভেলে
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন