ইউক্রেন বনাম রুশ যুদ্ধে প্রথম থেকেই ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মলদোভার প্রধানমন্ত্রী নাতালিয়া গাবরিলিতা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বান্ধব হিসেবেই পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার দেশের আকাশে একাধিক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র উড়তে দেখার পরেই তড়িঘড়ি প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক সঙ্কটের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা দেশের দায়িত্বভার আর তাঁর পক্ষে সামলানো সম্ভব নয় বলে ইস্তফার পরে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন নাতালিয়া। এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাব এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে ক্ষমতার টালমাটাল ১৮ মাসের মাথায় পদত্যাগ করেছে মলদোভার পশ্চিমা-পন্থি সরকার।
দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দোরিন রেচান ডোরিনের নাম প্রস্তাব করেছেন পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী। আগামী সপ্তাহেই সংসদের অধিবেশন ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেচানকে প্রধাননমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হবে। তিনি খুব দ্রুতই পার্লামেন্টের অনুমোদন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইউরোপের সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশ হিসেবেই পরিচিত মলদোভা। ২০২১ সালের অগস্ট মাসে নির্বাচনে জিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন নাতালিয়া গাবরিলিতা। কট্টর রুশ বিরোধী হিসেবেই পরিচিত। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই চরম সমস্যায় পড়ে যায় মলদোভা সরকার।
ঘোষিত শত্রু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সুরে সুর মেলানোয় মস্কোর পক্ষ থেকে মলদোভায় গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতে একদিকে যেমন দেশটিতে জ্বালানি সঙ্কট দেখা দেয় তেমনই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে ওঠে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।