কয়েকদিন আগে একই সিরিঞ্জ দিয়ে ৩০ শিক্ষার্থীকে করোনা টিকা দেওয়ার ঘটনার পরপরই আরও একটি অবাক করা ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। হাসপাতাল থেকে মায়ের মরদেহ বহন করার জন্য কোনো গাড়ি না পেয়ে মোটরসাইকেলে বেঁধে বাড়িতে নিয়ে গেছেন প্রদেশটির আনুপ্পুর জেলার গুদারু গ্রামের এক যুবক।
সোমবার (১ আগস্ট) প্রদেশের শাহোদল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক যুবককে মায়ের মরদেহ মোটরসাইকেলে দড়ি দিয়ে বেঁধে বাড়িতে নিয়ে যেতে দেখা যায়, যা ভিডিও করে ছেড়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অল্প সময়ে ভাইরাল হওয়া এ ঘটনায় দেশজুড়ে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, আনুপ্পুর জেলার গুদারু গ্রাম থেকে অসুস্থ মা জয়মন্ত্রী যাদবকে শাহোদল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান সুন্দর যাদব নামের এক যুবক। শনিবার দিনগত রাতে মায়ের মৃত্যু হলে মরদেহ গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে শবযান চান সুন্দর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গুদারু গ্রামে মরদেহ নিয়ে যেতে পাঁচ হাজার রুপি দিতে হবে।
সেই টাকা জোগাড় করতে না পারায় শেষমেশ ১০০ রুপি দিয়ে কাঠের পাটাতন কিনে তার ওপর মরদেহ রেখে দড়ি দিয়ে বাঁধেন সুন্দর। এভাবেই মোটরসাইকেলে করে মায়ের মরদেহ হাসপাতাল থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের গ্রামে নিয়ে যান তিনি।
সুন্দর যাদব বলেন, বুকে ব্যথা অনুভব করায় মাকে প্রথমে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দুই হাসপাতালেই চিকিৎসক ও নার্সদের গাফিলতির কারণে আমার মা মারা গেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শাহোদল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসাসেবা সরবরাহের সব ব্যবস্থা থাকলেও এখান থেকে যথাযথ চিকিৎসা মেলে না।