English

23 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১১, ২০২৫
- Advertisement -

কোন দেশের ওপর কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করছেন ট্রাম্প?

- Advertisements -

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল থেকে নতুন ‘পারস্পরিক শুল্ক’ ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। যাকে তিনি ‘আমেরিকার মুক্তি দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

ট্রাম্পের এই ‘লিবারেশন ডে শুল্ক’ পরিকল্পনা ঘিরে চলমান জল্পনার মধ্যে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট নিশ্চিত করেছেন যে, পারস্পরিক শুল্কের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

অন্যান্য দেশগুলো আমেরিকান পণ্যের ওপর যে শুল্ক আরোপ করে, তার তালিকা তুলে ধরে লেভিট সোমবার বলেন, ‘অন্যায্য বাণিজ্য নীতিগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।’খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোয়াইট হাউস মুখপাত্র এ সময় সাংবাদিকদের সামনে একটি কাগজ তুলে ধরেন, যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত, জাপান এবং কানাডার উচ্চ শুল্ক হার তালিকাভুক্ত ছিল।

লেভিট বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমেরিকান দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে থাকে। জাপান আমেরিকান চালের ওপর ৭০০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছে। ভারত আমেরিকান কৃষি পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।কানাডা আমেরিকান মাখন ও পনিরের ওপর প্রায় ৩০০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের শুল্ক হার আমেরিকান পণ্যকে এই বাজারগুলোতে প্রবেশে কার্যত অসম্ভব করে তুলেছে এবং বিগত কয়েক দশকে অসংখ্য আমেরিকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কর্মসংস্থান নষ্ট করেছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন এই শুল্ক নীতির লক্ষ্য অন্যান্য দেশের উচ্চ শুল্ক হারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং অশুল্ক বাধাগুলোর ক্ষতিপূরণ দেওয়া। যা দেশটিতে রপ্তানি প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে ফেলছে।

হোয়াইট হাউসের মতে, ‘অন্যান্য দেশ বহুদিন ধরে আমেরিকাকে শোষণ করছে এবং তারা আমেরিকান শ্রমিকদের প্রতি তাদের অবজ্ঞা প্রকাশ করেছে।’

বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা প্রতিবেদন

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন সোমবার এক বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্যান্য দেশের নীতিমালা কীভাবে মার্কিন পণ্য আমদানিতে বাধা সৃষ্টি করছে।

মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয় (USTR) তার বার্ষিক ‘ন্যাশনাল ট্রেড এস্টিমেট রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে, যেখানে বিভিন্ন দেশের গড় শুল্ক হার এবং অশুল্ক বাণিজ্য বাধাগুলোর বিশদ বর্ণনা রয়েছে।

মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জামিসন গ্রিয়ার বলেন, আধুনিক ইতিহাসে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এতটা সুস্পষ্টভাবে বৈদেশিক বাণিজ্য বাধার বিরুদ্ধে অবস্থান নেননি। যেমনটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিয়েছেন।

প্রতিবেদনের মূল পয়েন্ট

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন প্লাস্টিক প্যাকেজিং নীতি, যেখানে পোস্ট-কনজিউমার রিসাইকেল কন্টেন্টের ন্যূনতম পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছে, সেটিকে মার্কিন রপ্তানির জন্য ‘অযৌক্তিক বাধা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

কানাডার দুগ্ধ, পোল্ট্রি ও ডিম শিল্পের জন্য ‘সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নীতির কারণে পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক (চিজ ২৪৫%, মাখন ২৯৮%) আরোপ করা হয়েছে।

আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মূল্য সংযোজন কর (VAT) মার্কিন আমদানির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।

চীন নির্দিষ্ট পণ্য রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে ভ্যাট রিবেট ব্যবহার করছে, যা এক ধরনের ভর্তুকির মতো কাজ করছে।

তবে এই প্রতিবেদনের ৩৯৭ পৃষ্ঠার বিশ্লেষণ ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনাকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন