কুকুরের মাংস খাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ায় বেশ স্বাভাবিক একটি বিষয়। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটি এখনো অস্বস্তিকর। তাই দেশটিতে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধে তৎপর হয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট গত সোমবার একটি সাপ্তাহিক বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী কিম বু-কিউমকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘কুকুরের মাংস নিষিদ্ধ করার সময় কি এখনো আসেনি?’
তিনি আরো জানিয়েছেন, দেশটির কর্তৃপক্ষ এখন কুকুরের খামার ও রেস্তোরাঁ নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করতে আইন ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রবিধানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দেশটিতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কুকুরের মাংস খাওয়ার ‘ট্যাবু’ রয়েছে। পশু অধিকার কর্মীরাও এটি নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার পোষা প্রাণীর কদর বাড়ছে। অনেকেই পোষা প্রাণী হিসেবে কুকুরকে বেছে নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে দেশটির রাষ্ট্রপতিও রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট মুন খুবই কুকুরপ্রেমী এবং রাষ্ট্রপতি প্রাঙ্গণে তার বেশ কয়েকটি কুকুর রয়েছে।
কুকুরের মাংস দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ কোরিয়ান খাবারের একটি বড় অংশ ছিল। দেশটির মানুষ বছরে প্রায় ১০ লাখ কুকুরের মাংস খায়। কিন্তু কুকুর খাওয়ার পরিবর্তে অনেক মানুষ এখন কুকুরকে সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পশু সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, দেশটিতে কুকুর-বিড়ালের ওপর নিষ্ঠুর আচরণের জন্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু দেশটিতে কুকুর খাওয়া নিষেধ করা হয়নি।