বাজারে শীতের সবজি আসতে শুরু করেছে। নতুন আলুর দামও কিছুটা কমেছে। তবে আবার বেড়েছে ডিমের দাম। এ নিয়ে কলকাতায় কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে তিনবার বাড়লো ডিমের দাম।
কলকাতায় ডিমের দাম ৫০ পয়সা বেড়ে এখন প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে সাত রুপিতে। ফলে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেখানে ডিমের দাম বেড়েছে ১ রুপি ৫০ পয়সা।
বারবার দাম বাড়ার কারণ হিসেবে কলকাতার ডিম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মুরগির খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডিমের দাম বেড়েছে। তবে খাবারের দাম যেভাবে বেড়েই চলেছে, তাতে আগামীতে ডিমের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুধু কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গের অন্য জেলাগুলোতেও বেড়েছে ডিমের দাম। মাসখানেক আগেও কলকাতা ও শহরতলী বাজারগুলোতে ডিমের দাম ছিল প্রতি পিস পাঁচ রুপি। এখন তা বিক্রি হচ্ছে অন্তত সাত রুপিতে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের জানিয়েছে, পোল্ট্রি খাবারের দাম হু হু করে বাড়ছে। তার সঙ্গে খরচ বেড়েছে পরিবহনেরও। এর ফলে কলকাতা ও আশপাশের শহরগুলোতে ডিমের দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
শিয়ালদহ ডিম পট্টি পাইকারি বাজারে এক পেটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪৭০ রুপিতে। প্রতি পেটিতে ডিম থাকে ২১০টি। ফলে পাইকারি দাম সাত রুপি হওয়ায় খুচরা বাজারে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে আট রুপিতে।
ডিমের দাম এভাবে বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্তরা। কলকাতার পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চল পানিহাটির গৃহবধূ স্বপ্ন দেবনাথ বলেন, সকালের নাশতা থেকে শুরু করে রাতের খাবার, সব বেলাতেই ডিম দরকার হয়। কিন্তু এর দাম হু হু করে বাড়লে প্রতিদিনের খরচ বাজেট ছাড়িয়ে যাবে। তাই সকালের নাশতায় ডিম বাদ দিতে হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক ডিমের চাহিদা প্রায় তিন কোটি। আর রাজ্যের উৎপাদন সক্ষমতা ৮০ থেকে ৯০ লাখ। আম্ফান ঝড়ের পর সেই সক্ষমতা আরও কমেছে। তাই ডিমের চাহিদা মেটাতে পশ্চিমবঙ্গকে নির্ভর করতে হচ্ছে অন্ধপ্রদেশ-তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যগুলোর ওপর। তবে পরিবহন খরচ ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি ডিমের দামে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।