ইতালিতে নতুন বছরে এসে গত ৪ দিন করোনায় মৃত্যুর হার কম থাকলেও মঙ্গলবার ৬৪৯ করোনভাইরাস-সংক্রান্ত মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে যা আগের দিন থেকে প্রায় দ্বিগুণ।
গত ১ জানুয়ারী থেকে ২,৩,৪ জানুয়ারী পর্যায়ক্রমে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন ৪৬২, ৩৬৪, ৩৪৭, ৩৪৮ জন। তবে গত ৪ দিনের তুলানায় মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে একদিনের মারা গেছে ৬৪৯ জন। এইদিকে গত কয়েকদিনের আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে মঙ্গলবারের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, এদিন আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৭৮ জন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হওয়া এ করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় ইতালিতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৭৬ হাজার ৩২৯ জন আর আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ১ লাখ ৮১ হাজার ৬১৯ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতালিতে করোনার দ্বিতীয় মহামারীটি তীব্রভাবে আঘাত হানতে শুরু করেছে। তাই করোনা প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা দীর্ঘ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ১০ হাজার ডোজ প্রথম ব্যাচ কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন আসার পরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করে ইতালি। ইতালির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলিতে করোনার টিকাদান অভিযানের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য কর্তৃপক্ষগুলি লড়াই করছে।
জানা গেছে, ইতালিতে প্রায় তিনশোটি ভ্যাকসিন বিতরণ সাইট থাকবে। টিকা দেওয়ার প্রচারণা চরম পর্যায়ে এলে তা বেড়ে ১ হাজার ৫০০ করা হবে হয়। মিলানের ভার্টিকাল ফরেস্ট আকাশচুম্বী নকশার জন্য বিখ্যাত বোয়েরি বলেছেন, মণ্ডপগুলি সৌর শক্তি দিয়ে চালিত হবে এবং কাঠ ও ফ্যাব্রিকের মতো পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ দিয়ে নির্মিত হবে।
ইতালি সরকার বলছেন, করোনা সংক্রমণ যাতে না বাড়ে তার জন্যই নতুন বছর উদযাপনকে ঘিরে এই বিধিনিষেধ। ইতিমধ্যেই করোনা টিকাদান চলছে, আশা করছি খুব শীঘ্রই আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবো।