লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সামরিক অবস্থানে দুই শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করেছে। বৃহস্পতিবার ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী ইসরায়েলি ভূখণ্ডে এই আক্রমণ চালিয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ নাসের নিহত হওয়ার পর এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের সাথে হিজবুল্লাহর এই সংঘর্ষে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
হিজবুল্লাহর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের টাইরে এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারা গোলান মালভূমিসহ বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে ২০০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে। একই সঙ্গে ৮টি সামরিক অবস্থানে বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোনও পাঠানো হয়েছে।
হামলার পর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল এবং গোলান মালভূমি জুড়ে সাইরেন বাজিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়। হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর সাথে ইসরায়েলের এই আন্তঃসীমান্ত সংঘাত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের বিভিন্ন অংশে ৯০ মিনিটের মধ্যে অন্তত ১৭টি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের সাথে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে চলমান এই সংঘাত ২০০৬ সালের যুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এএফপির তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে গত ৯ মাসে ৩০০ জনেরও বেশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ৮৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের ১৮ সৈন্য ও ১০ বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে।
গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ১,২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করা হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী তখন থেকে গাজায় পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু করে।