প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশ অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণাকে দুর্বল করার প্রশাসনিক পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় নাসা তার প্রধান বিজ্ঞানী ও আরও কয়েকজনকে বরখাস্তের ঘোষণা দিয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এই ঘোষণা দেওয়া হয়। খবর এএফপির।
আজ বুধবার (১২ মার্চ) এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত আপাতত ২৩ জন কর্মীর ওপর আরোপ করা হলেও আরও কর্মী ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন একজন মুখপাত্র।
প্রথম দফায় নাসার প্রধান বিজ্ঞানীর অফিস বাতিল করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে ছিলেন বিশিষ্ট জলবায়ুবিদ ক্যাথরিন ক্যালভিন। তিনি জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন এবং গত মাসে চীনে আয়োজিত একটি গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু বিজ্ঞান সম্মেলনে অংশ নিতে তাকে এবং অন্যান্য মার্কিন প্রতিনিধিদের নিষিদ্ধ করা হয়।
নাসার মুখপাত্র শেরিল ওয়ার্নার এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের কর্মীবাহিনীকে যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য এবং নির্বাহী আদেশের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে নাসা ধাপে ধাপে কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যা ‘রিডাকশন ইন ফোর্স’ (আরইএফ) নামে পরিচিত।
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকজন ব্যক্তি ১০ মার্চ বিজ্ঞপ্তি পেয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, তারা নাসার আরআইএফ- এর অংশ।’এ ছাড়াও অফিস অফ টেকনোলজি, পলিসি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি এবং অফিস অফ ডাইভারসিটি, ইক্যুইটি, ইনক্লুশনের ডাইভারসিটি, ইক্যুইটি, ইনক্লুশন এবং অ্যাক্সেসিবিলিটি শাখা বাদ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ট্রাম্পের মনোনীত নাসা প্রধান জ্যারেড আইজ্যাকম্যানের শেষ মুহূর্তের হস্তক্ষেপের কারণে নাসা অন্যান্য সংস্থার তুলনায় বড় ধরণের ছাঁটাই এড়াতে পেরেছে।