English

17 C
Dhaka
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

এন্টার্কটিকায় দুর্গম ডাকঘর চালাবেন ৪ নারী, গুনবেন পেঙ্গুইন

- Advertisements -

এন্টার্কটিকায় দুর্ঘম এলাকায় একটি ডাকঘর চালানোর জন্য বাছাই করা হয়েছে চার নারীকে। ডাকঘর চালানোর পাশাপাশি তারা পেঙ্গুইন গণনা করবেন। আর সেই দুর্গম এলাকায় পাঁচ মাস তারা এই কাজটি করবেন।

গৌডিয়ার দ্বীপে কাজ করতে যাওয়া এই নারীরা হলেন, ক্লার ব্যালান্টিন, মাইরি হিল্টন, নাতালি কোরবেট ও লুসি ব্রাজোন।

‘ইউকে অ্যান্টার্কটিক হ্যারিটেজ ট্রাস্ট’ এই দলটিকে পোর্ট লোকরয় ঘাঁটির ব্যবস্থপনার জন্য নির্বাচিত করেছে। এই ট্রাস্টটি কেমব্রিজ ভিত্তিক, তারাই দূরবর্তী ওই পোস্ট অফিসের জন্য পোস্টমাস্টার চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। তারা বিজ্ঞাপনে বলেছিল, প্রার্থীদের হতে হবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, পরিবেশ সচেতন ও থাকতে হবে কম সুবিধাসম্পন্ন এলাকায় বাঁচার জ্ঞান।
এই বিজ্ঞাপনে ছয় হাজার প্রার্থী রোমাঞ্চকর চাকরিটি পেতে আবেদন করে।

আর সেই ছয় হাজার থেকেই এই চারজনকে বাছাই করা হয়েছে। তাদের থাকতে হবে হিমাঙ্কের নীচের তাপমাত্রায়। যেখানেই নেই কোনো বিদ্যুৎ, টয়লেটে নেই ফ্লাশ, পানিও পর্যান্ত নেই। আর চলাচল হবে অনেকটা দিনের আলো নির্ভর।

স্কটল্যান্ডের নাগরিক মাইরি হিল্টন (৩০) বলেন,‘এন্টার্কটিকায় আমি এবারই প্রথম এবং সাদা মহাদেশকে দেখব এটা ভেবেই আমি বেশ শিহরিত।’ ‘আমার কোনো ধারনা নেই যে সেখানে আমরা কী পেতে পারি।’

লন্ডনের নাগরিক লুসি ব্রাজন এর আগেও তিন মাস এন্টার্কটিকায় কাটিয়েছেন। তিনিই এবার থাকছেন এই চারজনের দলের নেতৃত্বে। এই চাকরিকে তিনি ‘আজীবনের আরাধ্য স্বপ্ন’ বলে আখ্যা করেছেন।

পোর্ট লকরোয় ১৯৪৪ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়। এরপর পরিত্যক্ত ছিল বহু বছর। ফের ২০০৬ সালে এটি চালু করে যুক্তরাজ্য। এটি একটি ডাকঘর ও জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

প্রতিবছর এখানে ১৮ হাজারের মতো পর্যটক ঘুরতে যায়। তবে করোনার কারণে গেল ২ বছর এই দ্বীপে পর্যটকদের যাওয়া আসা বন্ধ ছিল।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন