এক মোটরসাইকেলে গোটা পরিবার। ভারতেই হয়তো সম্ভব। এক মোটরসাইকেলে তিনজন যাত্রী দেখা যায় নিয়মিত। পুলিশ ধরতে পারলে জরিমানা হয়। তিনজন যাত্রী নেওয়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, এমন উদাহরণও রয়েছে প্রচুর। যাত্রী সুরক্ষার দিক নিশ্চিত করতে চাইছে পরিবহণ দফতর।
কিন্তু সাধারণ মানুষের একাংশ সরকারের সঙ্গে কোনওভাবেই সহযোগিতা করতে রাজি নয়। হেলমেট ছাড়াই মোটরসাইকেল চড়ছে অনেকেই। পুলিশ জরিমানা কপ্রলেও টনক নড়ছে না। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ট্রাফিক আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আরও কঠোর হয়েছে আইন। তবুও যেন চেতনা ফিরছে না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি মোটরসাইকেলে সওয়ার হয়েছেন মোট সাত জন। অর্থাত্, গোটা পরিবার। সেই পরিবারের কর্তা মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। তাঁর স্ত্রী ও পাঁচটি বাচ্চা রয়েছে মোটরসাইকেলে। সেই ছবিতে বাইক আরোহীর সামনে একজন পুলিশ কর্মীকে হাতজোর করে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে।
নেটিজেনরা জানিয়েছেন, সেই পুলিশকর্মী চালান কাটেননি। বরং হাতজোর করে সেই বাইক আরোহীর সামনে দাঁড়িয়ে অনুরোধ করেছিলেন, এতটা বেপরোয়া হবেন না। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবেন না।
বাইকের সামনেই বসে ছিল তিনটি বাচ্চা। এমনকী একজন নারী নিজের কোলেও একটি বাচ্চাকে নিয়ে বসে রয়েছেন। কতটা ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা তাঁরা করছিলেন আন্দাজ করতে পারছেন নিশ্চয়ই! সব থেকে বড় কথা, বাইক চালক ছাড়া একজনের মাথাতেও হেলমেট ছিল না। এমনকী মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেলে ব্যাগও ঝোলানো ছিল। জানা গেছে ছবিটি তোলা হয়েছে বিহারের ঢাকা এলাকায়।