সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতার ঘিরে সপ্তাহজুড়ে কোন্দল চলছে দেশটিতে। লাহোরে ইমরান খানের জামান পার্কের বাসভবনের কাছে বুধবার (১৫ মার্চ) দ্বিতীয় দিনের মতো পিটিআই সমর্থকরা অবস্থান করছেন। পুলিশ ইমরান খানকে গ্রেফতারের ব্যর্থচেষ্টার পর পাঞ্জাব রেঞ্জার্সের একটি দল আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য বাসভবনে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
ডনের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতারের জন্য বুধবার সকাল থেকে নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে।
১৫ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে পিটিআই কর্মীরা সেখানে অবস্থান করছেন। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে মঙ্গলবার। সংঘর্ষে পুলিশের ৩০ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ১৫ পিটিআই কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সর্বশেষ পিটিআইয়ের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করছে।
আলাদাভাবে এক টুইটার বার্তায় ইমরান খান বলেছেন, কর্তৃপক্ষের আসল উদ্দেশ্য তাকে ‘অপহরণ ও হত্যা’ করা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্পষ্টতই গ্রেফতারের দাবি ছিল নিছক নাটক কারণ তাদের আসল উদ্দেশ্য অপহরণ ও হত্যা করা। ইমরান খান বলেন, টিয়ার গ্যাস ও জলকামানের পর এখন সরাসরি গুলি চালানোর আশ্রয় নিয়েছে তারা।
৭০ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ আরও দাবি করেন মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করতে যাওয়ার পুলিশের ‘কোনো কারণ ছিল না’। কারণ তিনি শনিবার পর্যন্ত জামিন নিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, সরকার এর আগে ব্যর্থচেষ্টার পর তাকে কারাগারে রাখতে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, আমি গ্রেফতারের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
ইমরান খান আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনে তার দল যাতে অংশ না নেয় সেকারণে কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি কারাগারে থাকি বা না থাকি তারা আমার দলের জয় ঠেকাতে পারবে না।’