ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁর দেশে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, ইউক্রেনের অবকাঠামো ও সীমান্ত রক্ষীদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে মস্কো।
বিবিসির প্রতিবেদক জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার কিছু পরেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। চার-পাঁচটি বিষ্ফোরণের শব্দ হয়।
বিছিন্ন এবং দূর থেকে আসা। পরপরই কয়েকটি। সবচেয়ে সাম্প্রতিকটি ছিল কাছাকাছি। তবে এখনও শহরের কেন্দ্রে নয়।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে হামলা হয়ে থাকতে পারে। বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কাজ করা একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, বিমানঘাঁটি ও সামরিক সদর দপ্তরে হামলা চালানো হয়েছে।
রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর কাছাকাছি ক্রামতোর্স্কের মতো পূর্বের শহরগুলোসহ ইউক্রেনজুড়ে অন্যান্য রিপোর্ট আসছে। ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক বক্তৃতার কিছুক্ষণ পরই এসব শুরু হয়। এটি রাশিয়ার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আক্রমণের সূচনা বলেই মনে হচ্ছে।
এর আগে সিএনএন এর সরাসরি সম্প্রচারে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। দেখা যায়, সিএনএন এর সাংবাদিক ক্যামেরার সামনেই সুরক্ষা জ্যাকেট পরে নিচ্ছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার ওপর কেউ কিছু করতে চাইলে ‘তাৎক্ষণিক জবাব’ দেওয়া হবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শহর লক্ষ্যবস্তু করার কথা অস্বীকার করে বলেছে তারা ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা, বিমান প্রতিরক্ষা ও বিমানবাহিনীকে নিখুঁত লক্ষ্যের অস্ত্র দিয়ে আঘাত করছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা রিয়া মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে এ কথা জানায়।
ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি
ডাচ আউটলেট বিএনও বলেছে, রুশ বাহিনী ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পর দেশটিতে বুধবার রাতে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে।
দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা কার্যকর করা হয়েছে, কর্মকর্তাদের বিধিনিষেধ আরোপ করার অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সামরিক আইনের অধীনে, সামরিক নেতারা ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণ করবে।