ইসরায়েলি কারাগার থেকে আরও বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু বার্তা সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৩০ শিশু এবং তিন নারীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৩৩ বন্দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কতজন নারী বা শিশু সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে হামাস এবং কাতারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ৩৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে যাদের মধ্যে ৩০ জন শিশু এবং তিনজন নারী।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুদিন বাড়লো। দীর্ঘ আলোচনার পর সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাতে এ বিষয়ে একমত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মধ্যস্ততাকারী দেশ কাতার।
গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে চারদিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল, যা মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর দাবি ওঠে। সেই লক্ষ্যেই উভয় পক্ষ মধ্যস্ততাকারী দেশগুলোর সঙ্গে জোর আলোচনা শুরু করে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন যে, গাজা উপত্যকায় অতিরিক্ত দুই দিনের জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য একটি চুক্তি হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও চারদিনের যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করে মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে শেষ পর্যন্ত আরও দুইদিনের যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে পক্ষগুলো।
গত ৭ অক্টোবর নতুন করে শুরু হয় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত। এরপর টানা প্রায় ৭ সপ্তাহ ধরে গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালায় ইসরায়েল। হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ জন নিহত ও কয়েক হাজার আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রায় ১৫ হাজার নিহত ও ৩৫ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে।