মালয়েশিয়ার আকাশসীমার কাছে বিমান মহড়া চালিয়ে চীন মালয়েশিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটি। অন্যদিকে বেইজিং-এর দাবি, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানিয়েই তাদের জঙ্গিবিমানগুলো নিয়মিত প্রশিক্ষণ ফ্লাইটে অংশ নিয়েছে। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিশামুদ্দিন হুসেইন স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, তার দেশের পূর্বাঞ্চলীয় সারাওয়াক প্রদেশের আকাশসীমার কাছে বিমান মহড়া চালানোর প্রতিবাদে তিনি কুয়ালালামপুরে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করবেন।
তিনি বলেন, চীন তার দেশের আকাশসীমা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। হিশামুদ্দিন বলেন, ‘মালয়েশিয়ার অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। কোনো দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অর্থ এই নয় যে, আমরা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করব’।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতকে একটি কূটনৈতিক প্রতিবাদলিপি দেওয়া হবে। এর একদিন আগে চীন ও মালয়েশিয়ার মধ্যবর্তী বিতর্কিত আকাশসীমায় চীনা জঙ্গিবিমানকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে নিজের যুদ্ধবিমান পাঠায় মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, গত সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে সারাওয়াক প্রদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বপ্রথম চীনা জঙ্গিবিমান ধরা পড়ে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ১৬টি চীনা জঙ্গিবিমান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৩ হাজার থেকে ২৭ হাজার ফুট উচ্চতায় ২৯০ নটিক্যাল মাইল বেগে মালয়েশিয়ার আকাশে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় চীনা পাইলটরা তাদের পরিচয় প্রদানের আহ্বান বারবার উপেক্ষা করতে থাকে। একপর্যায়ে চীনা বিমানগুলো গতিপথ পরিবর্তন করে চলে যায়।
মালয়েশিয়ার বিমানবাহিনীর বিবৃতিতে এ ঘটনাকে সে দেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও বিমান নিরাপত্তার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে। তবে মালয়েশিয়ার এ দাবি নাকচ করে দিয়ে চীন বলেছে, এসব বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণ ফ্লাইটে অংশ নিয়েছিল এবং কোনো বিশেষ দেশকে টার্গেট করে এগুলোকে আকাশে ওড়ানো হয়নি।