অমানবিক দৃশ্য পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে। অর্থের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স না মেলায় মায়ের মরদেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে দেখা গেলো ছেলেকে।
এই ঘটনার ফলে রাজ্য সরকারে সমালোচনা করছে বিরোধীদলগুলো। কেউ কেউ রাজ্য সরকারের সমব্যথী প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ কেউ মারা গেলে তার দাহ করার জন্য সরকার থেকে এই প্রকল্পের অধীনে অর্থ সরবরাহ করা হয়।
জানা গেছে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের বাসিন্দা লক্ষ্মী রানী দেওয়ানকে জেলার সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের দাবি, মরদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য তিন হাজার রুপি চান স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্সচালক।
এত বেশি অর্থ দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় এভাবেই মায়ের মরদেহ কাঁধে তুলে নেন ছেলে।
বিগত কয়েক বছর আগে উড়িষ্যার কালাহান্ডিতেও এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার আবার পুরুনাবৃত্তি হলো পশ্চিমবঙ্গে।
এদিকে অ্যাম্বুলেন্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে জানানো হয়েছে, মৃতের ছেলে অ্যাম্বুলেন্স চাইতে গেলে তার কাছ থেকে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক তিন হাজার রুপি চায়। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মায়ের নিথর দেহ কাঁধে তুলে নিয়ে রওনা দেন ওই ছেলে।
অ্যাসোসিয়েশনের আরও দাবি, হাসপাতালে বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা রয়েছে। যা হাসপাতালে সঙ্গে যোগাযোগ করলেই পাওয়া যেতো। তবে তিনি কেন তা করলেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অ্যাম্বুলেন্স অ্যাসোসিয়েশন।
এই ঘটনায় হাসপাতাল সুপার কল্যাণ খাঁ বলেন, এক্ষেত্রে ফ্রি অব কষ্ট গাড়ির ব্যবহার করে দেওয়া হয় মৃত পরিবারগুলোকে। তবে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটলো সম্পূর্ণ বিষয়টি তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন।
অন্যদিকে এই ঘটনার পরে রাজ্য সরকারের করা সমালোচনায় নেমেছে বিরোধীরা।
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অত্যন্ত পেইনফুল ঘটনা, লজ্জা রাখার জায়গা নেই।