দুর্ঘটনায় পুরো বিমান পুড়লেও অবিশ্বাস্য ভেবে বেঁচে গেছেন যাত্রীবাহী বিমানের ৩৭৯ যাত্রী ও ক্রু সদস্য। এই ঘটনাকে রীতিমতো বিস্ময়কর বলেই মনে করছে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাজ্যের ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপাত্তা ও দুর্ঘটনা তদন্ত বিভাগের অধ্যাপক গ্রাহাম ব্রেইথওয়েইটের মতে, জাপানের বিমান পরিষেবাকর্মীদের অসাধারণ দক্ষতা ও তৎপরতার কারণেই এই ‘অলৌকিক ঘটনা’ ঘটা সম্ভব হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে ব্রেইথওয়েইট বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজে যা দেখলাম, তাতে বলতে পারি এত অল্প সময়ে যাত্রীবাহী বিমানটির সব যাত্রীকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনা রীতিমতো অবিশ্বাস্য।’
গত মঙ্গলবার জাপানের রাজধানী টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে জাপানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান সংস্থা জাপান এয়ারলাইন্সের একটি এয়ারবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জাপানের কোস্টগার্ড বাহিনীর একটি ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজের। এ সময় এয়ারবাসটিতে মোট ৩৭৯ জন যাত্রী ছিলেন।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় কোস্টগার্ড উড়োজাহাজের ৫ জন ক্রু নিহত হলেও এয়ারবাসের সব যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই যাত্রীদের মধ্যে মাত্র চার জন আহত হয়েছেন।
ব্রেইথওয়েইট বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে বোঝা যায় দুর্ঘটনাটি প্রতিরোধ করা অসম্ভবই ছিল। কিন্তু জাপান এয়ারলাইন্স তাদের নিরাপত্তা এবং ক্রুদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কী পরিমাণ মনযোগ দেয়, তা আমি জানি। তাদের এই অসাধারণ দক্ষ উদ্ধার তৎপরতাই আসলে এই যাত্রীদের প্রাণ বাঁচিয়েছে।’