ভারতের চাঞ্চল্যকর নারদাকাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সোমবার সকালে মমতার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্রকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। কোনও নোটিশ ছাড়া মাত্র ঘণ্টা দেড়েকের ব্যবধানে চার জনকে তুলে আনা হয়। পরে গ্রেফতার দেখানো হয়।
নিজাম প্যালেসে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “আমি এই চত্বরেই বসে থাকবো। কারও কারও অর্ডারে আপনারা এই কাজ করছেন। আমাকে আইন শিখিয়ে লাভ নেই। কোন নিয়মে গ্রেফতারি, না জেনে কোথাও যাব না।” অর্থাৎ গ্রেফতারির আইনসঙ্গত উত্তর না পেলে অবস্থানেই থাকছেন মমতা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে গ্রেফতার হওয়া বিধায়ক মন্ত্রীদের আইনজীবীরাও রয়েছেন নিজাম প্যালেসে।
স্পিকারের অনুমতি নেই, লকডাউনের মধ্য়ে তারপরেও বেনজির ভাবে বাড়িতে ঢুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের। গ্রেফতারির অনিয়ম নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় খবর পেয়েই বলছেন, তাঁকেও গ্রেফতার করা হোক, এমনটাই দাবি পুরসভার কো অর্ডিনেটার তথা আইনজীবী অনিন্দ্য রাউতের। অনিন্দ্য রাউতের বক্তব্য কোনও রকম সরকারি অনুমোদন ছাড়াই এই গ্রেফতারি হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী তাই বলছেন, তাঁকেও গ্রেফতার করা হোক।
রাজ্যের মন্ত্রীরা নারদাকাণ্ডে নজিরবিহীন ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন। খবর পেয়েই এদিন কালীঘাটের বাড়ি থেকে নিজাম প্যালেসে রওনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।