তুরস্কের বিশ্বখ্যাত আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদে দীর্ঘ ৮৮ বছর পর প্রথম বারের মতো লাইলাতুল কদর পালিত হয়েছে। গত বুধবার (২৭ এপ্রিল) করোনা সংক্রমণরোধে দুই বছর পর রমজান মাসের মহিমান্বিত এ রাত উদযাপন করেন মুসল্লিরা। ওই রাতে আয়া সোফিয়া মসজিদে আগত মুসল্লিদের নিয়ে নামাজ পড়িয়েছেন মিসরের বিখ্যাত কারি ড. আহমদ নায়িনা।
২০২০ সালের ২৪ জুলাই ঐতিহাসিক এ স্থাপনা নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
করোনা মহামারি সংক্রমণরোধে গত দুই বছর মসজিদের নামাজে বিধি-নিষেধ ছিল। ব্যাপকভাবে করোনা টিকাপ্রদান, মৃত্যুসংখ্যা হ্রাস ও সুস্থতার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় তুরস্কের সরকার পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সব মসজিদ খুলে দিয়েছে।
দীর্ঘ ৮ দশক পর এ রমজানে প্রথম বারের মতো তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে ইস্তাম্বুলের ইফতা বিভাগ। রমজানের পুরো মাস এ প্রদেশের ১৫৮টি মসজিদ সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তারাবির নামাজ ছাড়াও অনেক মসজিদে কোরআনের তাফসির অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। রমজান মাসের শেষ ১০দিন আগ্রহী মুসল্লিরা ইতিকাফ করতে পারবেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক মসজিদে সর্বোচ্চ পাঁচজন ইতিকাফ করতে পারবেন।
৫৩২ সালে ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া নির্মিত হয়। ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল বিজয়ের আগ পর্যন্ত ৯১৬ বছর তা খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ১৪৫৩-১৯৩৪ সাল পর্যন্ত তা মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ৮৬ বছর ঐতিহাসিক এ স্থাপনা জাদুঘর হিসেবে থাকে। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
২০২০ সালে ১০ জুলাই তুরস্কের একটি আদালত ১৯৩৪ সালে জাদুঘর রূপান্তর বিষয়ক মন্ত্রিসভার আদেশ বাতিল করে আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদ হিসেবে ব্যবহার নির্দেশনা দেয়। অবশ্য তা দেশি-বিদেশি সব দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত।