পকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা এখনো চলছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৮৮ আসনে জয় পেয়েছেন। নওয়াজের শরিফের পাকিস্তান মুসলীম লীগ জয় পেয়েছে ৬১ আসনে। ৫০ আসন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি। অন্যন্য পেয়েছে ১৮টি। এখনো ফলাফল ঘোষাণা হয়নি ৪৮ আসনে। স্থগিত আছে এক আসনে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ২৬৫টি। কোনো দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১৩৪ আসন। তাই প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে না। অপেক্ষা করতে হবে জোট গঠন পর্যন্ত। কিন্তু জোটের বিষয়টি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
এর আগে তেহরিক-ই-ইনসাফের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে তারা কোনো জোটে যাবে না। এ ব্যাপারে কোনো আলোচনাও হয়নি। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফ ও ভুট্টোর দলের মধ্যে কোনো জোট হবে কি না তাও স্পষ্ট জানানো হয়নি। তাই নতুন সরকার পাওয়ার জন্য পাকিস্তানের নাগরিকদের অপেক্ষায় থাকতে হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
নির্বাচনের ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নানা দিক থেকে প্রশ্ন উঠছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ভোট গণনা শুরু হলেও স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫৬ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া প্রথম দিকে যেসব প্রার্থী অনেক বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন এখন শেষ দিকে দেখা যাচ্ছে তারা হেরে যাচ্ছেন।
ব্যাপক ধরপাকড়, অত্যাচার ও নিপীড়নের পরেও সবশেষ প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা স্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছেন।