১১২ বছর বয়সে আবারও বিয়ে করতে চান মালয়েশিয়ার এক নারী। এর আগে তিনি সাত বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। তার রয়েছে পাঁচ সন্তান এবং ১৫ জন নাতি-নাতনি। এই নাতি-নাতনিদের রয়েছে ৩০ সন্তান।
ওই বৃদ্ধা নারীর নাম সিতি হাওয়া হুসেন। যে বয়সে বেঁচে থাকাই কঠিন, সেই বয়সে এমন ইচ্ছের কথা জানালেন তিনি।
মালয়েশিয়ার এই নাগরিক ১০০ বছর পরেও সুস্থ্য এবং ভালো আছেন। এমনকি কারও সাহায্য ছাড়াই একা হাঁটতে-চলতে পারেন। সব রকম কাজও করতে পারেন তিনি। কিন্তু এ বয়সে এসে তিনি একাকিত্বে ভোগেন। কারণ তার প্রিয়জনেদের মধ্যে অনেকেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাই একাকীত্ব কাটাতেই বিয়ে করতে চান এর নারী।
মুসলিম এই নারী এখনও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন এবং নিজে একাই হাঁটতে পারেন। তার বড় সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে সামান্য শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন এবং দৃষ্টিও সামান্য কমেছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ভাবিনি যে এই বয়সে বেঁচে থাকব, যখন আমার ভাইবোন এবং অন্যান্য বন্ধুরা ইতিমধ্যেই মারা গেছে।’
এ শতবর্ষী দাবি করেছেন যে, তার দীর্ঘায়ুর কোনও গোপনীয়তা নেই, কেবলমাত্র তিনি ভাত খাওয়ার সময় পানি পান করেন না। তবে এটি তার সুস্বাস্থ্যের জন্য অবদান রাখে কিনা তা তিনি নিশ্চিত নন।
তার কাছে কেউ বেড়াতে এলে বন্ধুত্বপূর্ণ ও আড্ডাবাজ হয়ে ওঠেন তিনি।
তার এক ছেলে জয়নুরা আরিফিন (৪৭) বলেন, ‘মা উচ্ছৃঙ্খল নন, তবে মাঝে মাঝে তিনি তার এ বয়সকে ভুলে যান।’
তার কনিষ্ঠ পুত্র আলী বলেছেন, ‘যদিও তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল, তবে তিনি সেই সময়ের ইতিহাস বর্ণনা করতে পারেন যখন জাপান তার নাতি-নাতনিদের কাছে দেশটি উপনিবেশ করেছিল।’
মালয়েশিয়ার এ নারী মজা করে বলেছেন যে, তিনি আবারও বিয়ে করতে ইচ্ছুক। রসিকতা করে কেউ যদি তাকে প্রস্তাব দেয় তবে তিনি পুনরায় বিয়ে করার কথা অস্বীকার করবেন না।
তিনি বর্তমানে তার ছোট ছেলে এবং পুত্রবধূর সঙ্গে থাকেন।
তার সাত স্বামীর মধ্যে কেউ কেউ মারা গেছেন এবং কেউ কেউ তালাক দিয়েছেন। যদিও তিনি নতুন কাউকে বিয়ে করার বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহী নন, তবে কেউ যদি সত্যিই প্রস্তাব দেয় তবে ‘না’ বলতে পারবেন না।