চলতি জানুয়ারি মাসে পাঁচ কোটি ডিম রফতানির রেকর্ড করেছে ভারত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মালয়েশিয়া পোল্ট্রি খাবার সংকটে পড়ায় ডিম রফাতানিতে এই রেকর্ড করল ভারত।
দেশটির শিল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মালয়েশিয়ায় মুরগির খাবারের তীব্র ঘাটতি দেখা দেয়। এতে দেশটির মুরগি ও ডিমের ক্ষুদ্র খামারিরা ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হন।
ভারতীয় ডিমের ক্রেতা মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। এর মধ্যে কাতার ও ওমান প্রধান আমদানিকারক দেশ। কিন্তু বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিম সরবরাহকারী দেশগুলোয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে ভারতীয় হ্যাচারিগুলোয় আশ্চর্যজনকভাবে ব্যাপক আকারের অর্ডার বেড়েছে। তবে ভারত সবচেয়ে বড় অপ্রত্যাশিত অর্ডার পেয়েছে মালয়েশিয়ার কাছ থেকে। যে দেশ নিজেই সিঙ্গাপুর ও অন্যান্য এশিয়ার দেশে ডিম রফতানি করত।
দাম বেড়ে রেকর্ড করার কারণে ডিমের সরবরাহ ব্যবস্থা সুরক্ষিত রাখতে এ মাসের শুরুতে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর নামাক্কালসহ বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করে গেছেন মালয়েশিয়ার কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তামন্ত্রী মোহাম্মদ নাবু। মূলত নামাক্কাল অঞ্চলের নেতৃস্থানীয় হ্যাচারিগুলো থেকেই বেশির ভাগ ডিম মালয়েশিয়ায় রফতানি হয়।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় ডিম রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান পন্নি ফার্মসের যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালক সস্তি কুমার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়া ভারতের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ডিম কিনছে। এ থেকে আমরা নিশ্চিত মনে করছি, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ভারতের ডিম রফতানি শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে।
ভারত গত ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ায় ৫০ লাখ ডিম রফতানি করেছে এবং তা জানুয়ারিতে এক কোটিতে দাঁড়িয়েছে। এটি আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেড় কোটিতে পৌঁছাবে।
মালয়েশিয়ায় গত ডিসেম্বরে যে দামের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছিল, তা কমাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে ভারত। দেশটি থেকে আমদানির সুযোগ হওয়ায় স্বস্তি ফেরে মালয়েশিয়ার বাজারে।