জাপানে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। শুক্রবার সকালে জাপানের কেন্দ্রীয় ইশিকাওয়া অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। শক্তিশালী ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পর একের পর এক আফটার শক জাপানকে ঝাঁকিয়ে দিয়েছে। ৫০টির বেশি আফটার শক আঘাত হানে। ভূমিকম্পে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০ জনের বেশি আহত হয়েছে। এ ছাড়া অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.২ বলে জানিয়েছিল। এর প্রভাবে জাপানে বড় ভূমিধস হওয়ারও আশঙ্কা করা হয়েছিল। জনপ্রিয় পর্যটন স্থান নাগানো এবং কানাজাওয়ার মধ্যে শিনকানসেন বুলেট ট্রেন চলাচল স্থগিত করে দেওয়া হয় ভূমিকম্পের কারণে।
জাপানের কিয়োডো সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার মধ্যদুপুরে মধ্যইশিকাওয়া অঞ্চলে ১২ কিমি (৭ মাইল) গভীরতায় আঘাত হানা ভূমিকম্পের সময় ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ সিঁড়ি থেকে পড়ে মারা যান। এরপর প্রায় ৫৫টি আফটার শক আঘাত হানে, যার মধ্যে কয়েকটি খুব শক্তিশালী ছিল।
শনিবার সকালেও আঘাত হানে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভূমিধস হতে পারে। সংস্থাটির মতে, অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহর ইশিকাওয়া। এনএইচকে জানিয়েছে, ইশিকাওয়ার সুজু শহরে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ। সেখানে ভবন ধসের খবর পাওয়া গেছে। সুজুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানিয়েছেন, শহরটিতে তিনটি ভবন ধসে পড়েছে। এ ছাড়া দুটি স্থাপনায় আটকে পড়া দুজনকে উদ্ধার করেছেন তারা। কিছু জায়গায় বুলেট ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। যাত্রীরা আটকে পড়ে স্টেশনে। গতকাল জাপানে সরকারি ছুটির দিন ছিল বলে স্টেশনে ভিড়ও প্রচুর ছিল।
জাপানের পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এলাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোনো অস্বাভাবিকতা ছিল না। এদিন বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদসচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেন, জাপান সরকার ভূমিকম্প মোকাবেলায় কাজ করছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ অব্যাহত রয়েছে। এ সময় বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানান তিনি।