নানা নাটকীয়তার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়েছে।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টায়) দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির এই অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে সর্বপ্রথম পবিত্র কোরআন শরিফ থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও ফাতেহা পাঠ করা হয়।
তবে অধিবেশন শুরুর ৩০ মিনিট পরই দেড় ঘণ্টার জন্য তা মূলতবি করেন স্পিকার আসাদ কাইসার। সে অনুযায়ী স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময় দেড়টায়) পুনরায় অধিবেশন শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি আজকের কর্মসূচির চার নম্বরে রয়েছে। বিরোধীরা পূর্ণ শক্তি নিয়ে সংসদে এলেও ট্রেজারি বেঞ্চের খুব কম সদস্যই উপস্থিত রয়েছেন অধিবেশনে। যোগ দেননি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও।
অধিবেশনের শুরুতেই ফ্লোর নিয়ে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা শেহবাজ শরীফ বৃহস্পতিবারকে একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে স্বাগত জানান। পিএমএল-এন নেতার মতে, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের ভবিষ্যতকে ‘উজ্জ্বল’ করেছে।
এই অধিবেশনের উপরই নির্ভর করছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্য। নিয়ম অনুযায়ী, অনাস্থা প্রস্তাবের সমর্থনে কমপক্ষে ১৭২টি ভোট পড়লেই মেয়াদ শেষের আগে ক্ষমতাচ্যুত হবেন ইমরান খান।