নাম গুন্টার উভেন্টস, বর্তমানে তার বয়স ৩৭ বছর। যখন তা বয়স ছিল মাত্র সাত বছর, তখন ভরা ক্লাসে সহপাঠীদের সামনে তাকে শাসন করেছিলেন শিক্ষিকা মারিয়া ভেরিল্যান্ডেন। কিন্তু সেদিনের ওই ছাত্রের দাবি, তিনি নির্দোষ ছিলেন। এমনি এমনি তাকে শাস্তি দিয়েছিলেন শিক্ষিকা। এরপর কেটে গিয়েছে ৩০ বছরেরও বেশি সময়।
কিন্তু অপমানের ‘জ্বালা’ ভোলেননি গুন্টার উভেন্টস। তাই প্রতিশোধের আগুন মেটালেন শিক্ষিকাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ইউরোপের দেশ বেলজিয়ামে।
মারিয়া ভেরিল্যান্ডেনকে হত্যা করতে একদিন তার বাড়িতে ঢুকে ১০১ বার ছুরি দিয়ে কোপ বসাননি গুন্টার উভেন্টস। এতে মৃত্যু হয় ওই শিক্ষিকার। দু’বছর পর গত বৃহস্পতিবার আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে নিলেন গুন্টার। তার স্বীকারোক্তি শুনে কার্যত হতবাক আইনজীবীরাও।
তদন্তকারীদের গুন্টার জানান, সেদিন ক্লাসে বিনা কারণে তাকে অপমান করেছিলেন শিক্ষিকা মারিয়া ভেরিল্যান্ডেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। তারপর ৩০ বছর কেটে গেলেও অপমানের জ্বালা মেটেনি। প্রতিশোধ নিতেই হবে। সেই উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে অ্যান্টওয়ার্পে ওই শিক্ষিকার বাড়ি যান গুন্টার। তারপর ৫৯ বছর বয়সী শিক্ষিকাকে ক্ষতবিক্ষত করেন ছুরির আঘাতে।
কিন্তু তদন্তে নেমে অপরাধীকে শনাক্ত করতে বেগ পায় পুলিশ। শিক্ষিকার পাশেই পড়েছিল তার মানিব্যাগ। সেখানে নগদ টাকা ছিল। বাড়ির আসবাবপত্রও ছিল যথাস্থানেই। তাহলে খুনের কারণ কী?
ঘটনার ১৬ মাস পর ২০২০ সালের নভেম্বরে এক বন্ধুর কাছে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন গুন্টার। সেই বন্ধুই পুলিশকে জানানোর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার আদালত খুনের দায়ে গুন্টারকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।