পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শনিবার ঘোষণা করেছেন, তার দল আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ফেডারেল সরকারের ওপর চাপ তৈরি করার প্রয়াসে, নির্ধারিত সময়ের আগে আগামী সপ্তাহে দুটি প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেবে।
দেশের চারটি প্রাদেশিক পরিষদের মধ্যে দুটি নিয়ন্ত্রণ করে ইমরান খানের দল। অন্য দুটি তার রাজনৈতিক বিরোধীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যারা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অধীনে ফেডারেল সরকারকেও নিয়ন্ত্রণ করে। তারা বলেছে যে, তারা ২০২৩ সালের নভেম্বরে নির্ধারিত জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনের আগে কোনো নির্বাচনের আয়োজন করবে না।
পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে তার সমর্থকদের এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় খান বলেন, ‘আগামী শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) আমরা পাঞ্জাব এবং খাইবার-পাখতুনখোওয়া পরিষদ দুটি ভেঙে দেব।’
পাঞ্জাব প্রদেশটি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যেটি পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ এবং দেশটির ২২ কোটি জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক সেখানে বাস করে।
প্রাদেশিক পরিষদ বিলুপ্তির ফলে পাকিস্তানে নতুন করে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে, কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক সরকারের জন্য প্রতি পাঁচ বছর অন্তর একই সময়ে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যদি দুটি প্রাদেশিক পরিষদ আগেই ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে তাদের জন্য আলাদা নির্বাচন করতে হবে, যা আইনি সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ইমরান খান বলেন, দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে তার দুটি প্রাদেশিক সরকারের ক্ষমতা তারা ‘ত্যাগ’ করছেন।
তিনি আরও বলেন, দুটি প্রদেশে নির্বাচনের অর্থ হবে দেশের ৬৬% ভোটগ্রহণ, তাই সরকার সাধারণ নির্বাচনও আয়োজন করতে পারে।