২০২৩ সালের মে মাসের আগে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শিগগির নির্বাচনের দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে এমনটা জানানো হলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্ষমতাগ্রহণের পর ঠিকমত কাজ শুরু করতে পারেনি পাকিস্তানের নতুন শাহবাজ সরকার। মন্ত্রিসভার অনেকেই এখনো শপথও নেওয়া বাকী। এর মাঝে শিগগির নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সম্প্রতি লাহোর সমাবেশে সবাইকে বৃহত্তর সমাবেশের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দেশটির নির্বাচন কমিশন জানায়, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের তরফে গত ১৮ এপ্রিল তারা একটি চিঠি পেয়েছে। এতে জানানো হয়েছে, দেশটিতে সপ্তম জনগণনার কাজ শুরু হবে আগামী ১ আগস্ট। এটির জরিপ ফলাফল পাওয়া যাবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
নির্বাচন কমিশন জনগণনার ডাটা পাওয়া পর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তথ্য হালনাগাদের কাজ শুরু করবে। এরপর সেটির কাজ সম্পন্ন করতে আরও অন্তত চার মাস সময় লাগবে। এর পরই নির্বাচন সম্ভব।
বিদেশি ফান্ডিংয়ের মামলার ব্যাপারে ধীরগতির বিষয়টিও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বিবৃতিতে। কমিশন আরও জানিয়েছে যে, পিপিপি, পিএমএল-এন ও পিটিআইয়ের আবেদন গ্রহণ করে কাজ করছে কমিটি। শিগগির সেসব মামলার শুনানি শুরু হবে বলেও জানায় কমিশন।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মূলত ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। অতীতের ধারা অনুসরণ করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতনও হয়েছে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই।